চাঁদপুরে পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন জেলেরা। এসব জেলেদের পাড়া নৌ থানার আশপাশেই। দীর্ঘদিন ধরে জেলেদের অভিযোগ ছিল, নৌ থানার পুলিশ সদস্যরা নানাভাবে তাদের হয়রানি করতেন। আর সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ৫ আগস্ট।
এদিন শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর চাঁদপুর শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় নৌ থানায় সন্ধ্যার দিকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এখন থানার টিনের লম্বা ঘরে ছাই ছাড়া আর কিছুই নেই। শুধুমাত্র ওপরের চাল এবং পিলারগুলো অক্ষত আছে। থানার ভেতরের কক্ষগুলোতে থাকা পুলিশের ব্যবহৃত কোনো আসবাবপত্রের চিহ্ন নেই।
লঞ্চঘাটের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর জানতে পেরে থানার ওসি, কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যরা তাদের হাতের কাছে যা পেয়েছেন তা নিয়ে পালিয়ে যান। কারণ নৌ থানার পশ্চিম পাশেই টিলাবাড়ি নামে জেলে পল্লি এবং আনন্দন বাজার এলাকা। এসব পাড়া থেকে লোক এসে থানায় আগুন দিয়ে জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
একাধিক জেলে জানান, অভিযান চালিয়ে নৌ পুলিশ সদস্যরা তাদের হয়রানি করতেন। নিয়মিত টাকা না দিলে নদীতে নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া হতো। আটক করা হতো। তারই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে থানায় আগুন দিয়ে।চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, সোমবার আমরা থানা থেকে চলে আসি। পরে কোন সময় আগুন দিয়েছে বলতে পারবো না। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাও বলতে পারবো না। কারণ এখন পর্যন্ত আমরা সেখানে যেতে পারিনি।