বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ও গণহত্যার পক্ষে সরাসরি অবস্থান করায় ছাত্রদের তীব্র দাবির প্রেক্ষিতে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ৫ সাংবাদিকে সকল পদ পদবী থেকে অপসারণ করা হয়েছে। অপসারণকৃত সাংবাদিকরা হলেন সাবেক সভাপতি এইচ এম আহসান উল্লাহ, সাবেক সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, সাহেব সভাপতি কাজী শাহাদাত, সাবেক সভাপতি শরীফ চৌধুরী ও আব্দুর রহমান।
১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন এর স্বাক্ষরিত প্রেসক্লাবের প্যাডে এই সিধান্ত জানানো হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, ছাত্র গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও চাঁদপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তাদের দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনা করে চাঁদপুর প্রেসক্লাব ও সদস্যদের নিরাপত্তা এবং সাংবাদিক সমাজের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে সংস্কার ও সিদ্ধান্তবলী গৃহীত হয়েছে। যা হলো চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ব্যানারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ও গণহত্যার পক্ষে অবস্থানকারী সাংবাদিক (ক) এ এইচ এম আহসান উল্লাহ (খ) শহীদ পাটোয়ারী (গ) কাজী শাহাদাত (ঘ) শরীফ চৌধুরী ও (ঙ) আব্দুর রহমান কে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সকল পদ-পদবী থেকে অপসারণ করা হবে। বৈষম্য বিরোধী গণ আন্দোলনের সময়ে প্রকাশ্যে বির্তকিত কর্মকাণ্ডের জন্য চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনুতপ্ত হয়ে দুঃখ প্রকাশ করে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন। চাঁদপুর প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদ পূর্ণগঠন করে যোগ্যতা থাকার পরও যারা বঞ্চিত হয়েছেন তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সমঝোতা কমিটি সংযোজন বিয়োজন করে পুনর্গঠন করা হবে। চাঁদপুর প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র সংশোধনের লক্ষ্যে গঠিত উপ-কমিটি ভেঙে পুনর্গঠন করা হবে। ব্যক্তি বিদ্বেষ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে যোগ্যতা থাকার পরও যারা চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন নাই সদস্য পদ খালি থাকা সাপেক্ষে তাদেরকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
উক্ত সিদ্ধান্তকে চাঁদপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা স্বাগত জানান। এর প্রেক্ষিতে তাদের সকল কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন। চাঁদপুর প্রেসক্লাব সততা ও নিষ্ঠার সাথে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা আশাবাদ ব্যক্ত করে।
প্রভাতী কাগজ// অনলাইন ডেস্ক