চাঁদপুর শহরের জিটি রোড দক্ষিণে পৌরসভার সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রভাব খাটিয়ে ভেঙে দেয়া দোকান আবারও নির্মাণ করা হয়েছে। ওই এলাকার ‘ত্রি রত্ন’ নামক বাড়ির মালিক মো. মিজানুর রহমান তালুকদার নিজ সম্পত্তির বাহিরে পৌর সভার সম্পত্তিতে তিনটি দোকানঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন।
রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে পৌরসভার দেয়া সীমানা অমান্য করে সড়কের পাশে পুনরায় এসব দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা পদত্যাগের দাবিতে গত ৩ আগস্ট যখন আন্দোলন খুবই তীব্র ঠিক তখনই তারা নির্মাণ কাজ শুরু করে। এরপর ৫ আগস্টের পরে খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন,চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল , সার্ভেয়ার মো. মনির ও স্থানীয় কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান দর্জিসহ মিজানুর রহমান তালুকদারের এসব অবৈধ দোকান ভেঙে দেয়ার জন্য বলেন এবং তিনি ভেঙেও দেন। যাতে করে সড়ক প্রশস্ত হয়। বাড়ির মালিক নিজের সম্পত্তির মধ্যে দোকানঘর নির্মাণ না করে পৌরসভার রাস্তার জায়গায় আবারও এসব দোকান নির্মাণ করেন। পৌরসভা থেকে একাধিকবার নির্মাণ না করার জন্য বলা হলেও তিনি তা মানেননি।
তিনি আরও জানান, এই এলাকায় সড়ক প্রশস্ত করার জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যতগুলো স্থাপনা ভেঙেছেন সবগুলো এখন পর্যন্ত ঠিক আছে। সব বাড়ির মালিকরাই পৌরসভার নির্দেশনা মেনে নিজেদের বাড়ির সামনের দেয়াল ও স্থাপনা ভেঙে পরিস্কার করে দিয়েছেন।
এই বিষয়ে বক্তব্যের জন্য অভিযুক্ত মো. মিজানুর রহমান তালুকদারের বাড়ীতে শ্রমিক দিয়ে সংবাদ দেয়া হয়। প্রায় আধাঘন্টা অপেক্ষা করেও তার দেখা মিলেনি। পরবর্তীতে তার মোবাইলে ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। যে কারণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
চাঁদপুর পৌরসভার সার্ভেয়ার মো. মনির বলেন, ওই বাড়ির মালিক মিজানুর রহমান তালুকদারকে মেয়র মো. জিল্লুর রহমান সড়ক প্রশস্ত করণের জন্য দোকানের সামনে অংশ ভেঙে দেয়ার জন্য বলেন। তিনি ভেঙে দেন এবং সাটার লাগান। কিন্তু দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে তিনি আবারও পুনরায় আগের মত করে দোকান নির্মাণ করেছেন। একাধিকবার তাকে নিষেধ করা হয়। কিন্তু তিনি তা মানেননি।
তিনি আরও বলেন, আমরা জায়গা পরিমাপ করে দেখেছি মিজানুর রহমান তার বাড়ি নিজ সম্পত্তিতে করলেও দোকানঘর সম্পূর্ণ সড়কে। ওই এলাকার অন্য বাড়ির মালিকরা নিজেদের সম্পত্তিতে বাড়ি এবং সীমানা প্রাচীর করলেও রাস্তার জন্য তাদের দেয়াল ভেঙে পৌরসভাকে সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু এই ব্যাক্তি পুরো ব্যতিক্রম। তিনি দেশের বিরাজমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অন্যায় কাজ করেছেন। কারণ মেয়র বর্তমানে অনপুস্থিত।