মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল বাস্তহারা আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা খাদিজা আক্তার এবং মো. খবির হোসেনের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। খাদিজা আক্তার গুরুতর জখমী হয়ে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি আছেন। এ বিষয়ে খাদিজা আক্তারের স্বামী মো. আবুল কালাম বাদী হয়ে ষাটনল রঙ্গুখার কান্দি গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন (২৬), মো. ফাহিম হোসেন (১৯) একই এলাকার হামিদ সরকারের ছেলে মো. আল আমিন (২১), মো. ইলিয়াস (৩৮) এবং সাইফুল ফরাজির ছেলে মো. মেহেদী হাসান (১৯) কে বিবাদী করে মতলব উত্তর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার ষাটনল বাস্তহারা আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা মো. আবুল কালাম তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার ও খবির হোসেনের উপর নৌকা চুরির ঘটনা ও পূর্বের সম্পত্তিগত বিরোধীদেরকে কেন্দ্র করে তাদের উপর হামলা চালায় একই এলাকার মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. ফাহিম হোসেন, আল আমিন, মো. ইলিয়াস এবং মো. মেহেদী হাসান।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মো. আবুল কালাম তার স্ব-পরিবারে নিয়ে ষাটনল আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করি এবং নদীতে নৌকা দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। বিবাদীদের সাথে আমাদের পুরাতন বাড়ীর জায়গা সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলমান আছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে তারা বাদী পক্ষকে পূর্ব থেকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকী দিতেন। গত ১৫/১৬ দিন আগে আমার জীবিকার একমাত্র বাহন কাঠের তৈরি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ষাটনল বাস্তহারা মেঘনা নদীর ঘাট হতে রাতের অন্ধকারে চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীতে বাদীপক্ষ বিভিন্ন জায়গায় চুরি হয়ে যাওয়া নৌকাটি খোঁজাখুঁজি করে এবং এলাকার স্থানীয় লোকজনদেরকে অবগত করেছে। একপর্যায়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে এলাকার লোকজনদের কাছে নালিশ করিতেছি মনে করিয়া বিবাদীরা, বাদী ও তার পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ অক্টোবর সোমবার বিবাদী পক্ষের লোকজনেরা ঘটনাস্থলে এসে বাদী মো. আবুল কালামকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে মোঃ আবুল কালামের স্ত্রী খাদিজা আক্তার ও মো. খবির হোসেনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাদীরা এলোপাতাড়ী লোহার রড দিয়ে ও কিল, ঘুষি, লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে, লোহার রড দিয়ে খাদিজা আক্তারের মাথায় বাড়ি দিলে মাথা ফেটে গুরুতর আহত হয়। বিষয়টি স্থানীয় শালীদের জানাতে গেলে পুনরায় তাদের উপর হামলা চালায় বিবাদীপক্ষরা। পরবর্তীতে তাদেরকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করানো হয়।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মো. আবুল কালাম জানান, আমি এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি। মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।