হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও মধ্য মেনাপুরে হযরত সুমাইয়া (রা:) মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার আড়ালে চলছে অনৈতিক কর্মকান্ড। আর এই অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মোঃ লিটন বকাউলের স্ত্রী, তাদের বড় ছেলে মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুফতি যোবায়ের আলম (জাবেদ), মেজু ছেলে মাওলানা জানেবুল, বখাটে ছোট ছেলে জাহিদ এর বিরুদ্ধে।
মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা থেকে যেই ভ্রবনে মহিলা শিক্ষার্থীদের পাঠ্যদান করা হয় সেই ভ্রবনে একটি রুমে থাকেন মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মোঃ লিটন বকাউল ও তার স্ত্রী। তাদের বড় ছেলে ও তার স্ত্রী, মেয়ে ও মেয়ের জামাই, সদ্য বিবাহিত মেজু ছেলে মাওলানা জানেবুল ও তার স্ত্রী, তাদের বখাটে ছোট ছেলে জাহিদ প্রত্যেকে থাকেন মাদ্রাসার আলাদা আলাদা এক একটি রুমে। মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে ৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। মাদ্রাসাটি কোন পারিবারিক বাসা? নাকি মাদ্রাসা তা প্রশ্ন হাজারো জনের।
রাজারগাঁও মধ্য মেনাপুর এলাকার লোকজন জানান এই মহিলা মাদ্রাসাতে আমাদের এলাকার মেয়েরা পড়াশোনা করে। মাদ্রাসার লোকজনকে ভালো মনে করে আমাদের সন্তানের এখানে ভর্তি করাই। গেল কয়েক বছর পর্বে মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুফতি যোবায়ের আলম (জাবেদ) মাদ্রাসার ছাত্রীর সাথে পড়ানোর নামে দীর্ঘ দিন অবৈধ সম্পর্ক করে। পরে বিয়ে করে নেন। লিটন বকাউলের মেজু ছেলে জানেবুল মাদ্রাসায় পড়াতে গিয়ে এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেও দীর্ঘদিন তার সাথে অনৈতিক কার্মকান্ড করে শিক্ষার্থীর পরিবারের চাপে ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে এভিডেভিড করে বিবাহ করে। পরে গত ১২ অক্টোবর শনিবার মাদ্রাসার মধ্যেই বিবাহের সকল আনুষ্ঠানিকতা পালন করে। আমরা এলাবাসী এর প্রতিবাদ করি। এটা মাদ্রাসা নাকি কারো বাস্থান। এখানে শিক্ষার নামে কি হচ্ছে? আমাদের মেয়েরা কি শিখছে জনতে চাইলে তারা আমাদেকে হুমকি দামকি দেয়। ওমোক, তমোকে নেতার কাছে বিচার দিয়ে আমাদের ফাঁসাবে বলে ভয় দেখায়। লিটন বকাউলের ছোট ছেলে জাহিদ একটা বখাটে ছেলে। সে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার ছেলে বলে মাদ্রাসার যে ছাত্রীকে পচন্দ হয় তাকেই সে উত্তক্ত করে। প্রেম নিবেদন করে। কয়েক মাস পূর্বে মাদ্রাসার একটি ছাত্রী তার সাবেক প্রেমিকা তার আপন ফুফাত ভাই এর সাথে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। আমরা এলাকাবাসী এর বিচার চাই। এর একটা সুস্থ সমাধান চাই। ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে এই সব অপকর্ম চলতে পারেনা।
তারা আরো বলেন প্রতেক শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে মাসে ১ হাজার টাকা করে নেন। প্রতি সপ্তাহে তালিমের নামে মহিলাদের নিকট থেকে টাকা কালেকশ করে। প্রতি মাসে একবার ও বাংসারিক মাহফিলে দান অনুধানের টাকা মেরে নিজেরা ভোগবিলাস করে।
এই বিষয়ে মাদ্রসাটার দায়িত্বশীল কেউ সাংবাদিকদের বক্তব্য দিতে রাজি না। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী সাংবাদিকের উপস্থিত দেখে চিল্লাপাল্লা করে এলাবাসীকে গাল মন্দ করেন। তাদের ওমোক তমোক বড় বড় নেতার সাথে উঠাবসা আছে বলে হুমকি দামকি দেন।
পরে তাদের বখাটে ছোট ছেলে জাহিদ সাংবাদিকে জানান মাদ্রাসার ছাত্রীর সাথে তার সম্পর্কের ছিল তবে তার ফুফাত ভাই এখানে বেড়াতে আসলে পরে তার সাথে সম্পর্ক হয়। তারা পালিয়ে বিয়ে করে।