সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নে ইটভাটার এক কিলোমিটার দূরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকার কথা থাকলেও সরকারী আইন অমান্য করে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে তোলা হয়েছে মেধা বিকাশ মডেল স্কুল।
আইনে বলা আছে, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ অনুযায়ী, বিশেষ কোনো স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা অনুরূপ কোনো স্থান বা প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরে ইটভাটা স্থাপন করতে হবে।
জানা যায়, সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে অবস্থিত পশ্চিম সকদী মডেল নামীয় শিশু স্কুলটি। ২০১৯ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে মোঃ মিজানুর রহমান পরিচালনা করে আসছিল। তিনি নিয়ম বর্হিভুতভাবে স্কুলটি বন্ধ করে ২০০ গজ এর মধ্যে মেধা বিকাশ মডেল একাডেমী নামের অন্য একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীকে প্রভাবিত করে কয়েক শিক্ষক দ্বারা স্কুলটি পরিচালনার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। অনৈতিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু রাখায় পশ্চিম সকদী মডেল স্কুলের পক্ষে মজিবুর রহমান ৯ জুলাই মহা পরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর,
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক, চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক অফিসের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আরোও জানা যায়, মেধা বিকাশ মডেল স্কুলের সামনে কাটা তারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। যে কোন সময় কোমলমতি শিশুরা বড় ধরনের দূর্ঘটনার শিকার হতে পারে। এছাড়া ইটভাটায় ১০০ গজের মধ্যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যাবে না। কিন্তু মিজানুর রহমান সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও স্থানীয় কিছু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছে। এতে করে হুমকির মধ্যে রয়েছে কোমলমতি শিশুরা। কৌশলে ইটভাটার পাশে স্কুলটি গড়ে তোলায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। বছরের মাঝামাঝি শিশুদের অন্যত্র নেয়া যাবে না বলেও জানান অভিভাবকরা।
মোঃ মজিবুর রহমান জানান, মিজানুর রহমান পশ্চিম সকদী মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। আয় ব্যয় হিসাব নিকাশ সবকিছুই তার কাছে ছিল। কিন্তু সে পশ্চিম সকদী মডেল স্কুলের নিবন্ধন না করে মেধা বিকাশ মডেল স্কুল নামে অন্য একটি স্কুল করেছেন। কয়েকদিন আগে তিনি পশ্চিম সকদী মডেল স্কুল থেকে পারিবারিক সমস্যার কথা বলে অব্যাহতি নেন। এছাড়া তিনি পশ্চিম সকদী মডেল স্কুলের নাম, ব্যানার ছিড়ে ফেলে পাশেই মেধা বিকাশ মডেল স্কুল করেছেন। আর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক নিয়ে যান। ৮৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্য এখন মাত্র ১৭ রয়েছে।
মেধা বিকাশ মডেল স্কুলের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, পশ্চিম সকদী মডেল স্কুলে আমাকে কোন নিয়োগ দেয়া হয়নি। শুধু ভবন দেয়া হয়েছে। সেখানে মেধা বিকাশ মডেল স্কুল পরিচালনা করা হয়। পশ্চিম সকদী মডেল স্কুল থেকে গত ২১ জুন প্রদান শিক্ষক/পরিচালক পদ থেকে ব্যক্তিগত কারনে পদত্যাগ করি। আমি কোন শিশু শিক্ষার্থূকে জোর পূর্বক এখানে আনি নাই। আমাদের নিজস্ব জমির উপর মেধা বিকাশ মডেল স্কুল গড়ে তুলেছি। আর ইটভাটা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।