দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি থেকে ৩ নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। মঙ্গলবার ওই সব নেতাদের নামে বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘বিএনপি এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অথচ দলের একজন সদস্য হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে এ সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেছেন ওইসব নেতা। কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করার পর নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলেও নোটিশের জবাব দেননি তাঁরা। প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে গত ১৫ বছর ধরে অগণতান্তিক শাসক গোষ্ঠীর দ্বারা যারা গুম, খুন ও পৈশাচিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তাঁদের পরিবারসহ দেশের গণতন্ত্রকামী বিপুল জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষার প্রতি ওইসব নেতা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এ ধরনের অবজ্ঞা ঔদ্ধত্যের জন্য বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পদ থেকে তাঁদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। গণতন্ত্র উদ্ধারের ইতিহাসে ওইসব নেতার নাম বেইমান, বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর হিসেবে উচ্চারিত হবে।
যাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী নুরুল হক সরকার, ছেংগারচর পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ মাষ্টার, ছেংগারচর পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি ও ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল মতিন মেম্বার।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক জিতু বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ২জন ও কাউন্সিলর পদে ১জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ওই কারণে বিএনপির ৩ নেতাকে আজীবন দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
ছবি-০৪/০৫