চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চিতোষী ডিগ্রী কলেজের পরিচালনা পর্ষদ ও শিক্ষক, অভিভাবক এলাকাবাসীসহ নানা মূখি জটিলতায় শিক্ষাব্যবস্হা ভেঙে পড়েছে।
সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের যত অভিযোগ”
এনিয়ে একের পর এক অভিযোগ মামলা, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশেসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। এ সকল অভিযোগের কারণে চলমান ডিগ্রী পরীক্ষা কেন্দ্র স্হগিত করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এতে চিতোষী ডিগ্রী কলেজের ১৯৯৭ সাল থেকে চলে আসা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্র হারাতে হয়েছে। এর প্রতিবাদে স্হানীয় দুগ্রুপ আলাদা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
চিতোষী ডিগ্রী কলেজে গেলে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে দেখা গেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়াকে কেন্দ্র করে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। কলেজের দীর্ঘ দিনের অধ্যক্ষ আবু হানিফ অবসরে যাওয়ার পর থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি চিতোষী ডিগ্রী কলেজ। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর চিতোষী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপূর্বে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন উপাদক্ষ কামরুল হাসান। নিয়োগ পরীক্ষার আগেই উপাধ্যক্ষ কামরুল হাসানকে সরিয়ে সহকারী অধ্যাপক কামরুন্নাহারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হলে কামরুল হাসান চৌধুরী হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। এরপর ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর নতুন অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়া যোগদান করেন। কলেজের উপাধ্যক্ষ কামরুল হাসান জানান, বর্তমান সভাপতি মোটা অর্থের বিনিময়ে অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগ বানিজ্য করার জন্য তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে কলেজের ৬১ জন শিক্ষক কর্মচারী সভাপতি ও অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে ২৮ মে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও কলেজের শিক্ষকবৃন্দ সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ১৬ টি লিখিত অভিযোগ তুলে ধরেন। এদিকে প্রশাসনিক জটিলতা থাকার কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চিতোষী ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্র স্হগিত ঘোষণা করেন। ১১জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ের নির্দেশক্রমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান স্বাক্ষরিত পত্রে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এ ঘোষণার পর একে অপরকে জড়িয়ে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। ১২ জুলাই দুপুরে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে সমাবেশ করেছে। এবিষয়ে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়া সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন বলে কলেজ আঙ্গিনা ত্যাগ করে চলে যান। ঢাকায় অবস্থানরত কলেজ সভাপতিকে কয়েকবার মোবাইল ফোনে কল করে পাওয়া যায়নি।