চাঁদপুর হাইমচর থানাধীন হাইমচর ইউনিয়নস্থ চর পক্ষিদিয়া মেঘনা নদীর কিনারা মল্লিক কান্দি গুচ্ছগ্রাম থেকে চুরি হওয়ে যাওয়া মালামালের কিছু অংশ উদ্ধার সহ ৪ জন চোর কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ি। নীল কমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খাঁন এর সার্বিক দিক নির্দশনায় ৬ জুলাই চোর চক্রের অন্যতম সদস্য মোঃ আজগর হোসেন হাওলাদার (৪০) চুরি হয়ে যাওয়া ১লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার মালামাল সহ আটক হন।
চুরি হওয়া মালামালের মধ্যে দুই পাল্লা বিশিষ্ট লোহার দরজা ২০ পিস, দুই পাল্লা বিশিষ্ট লোহার জানালা ১৬ পিস, লোহার বেলকি ২৮ পিস, বড়, মাঝারি, ছোট লোহার এঙ্গেল ১৬০ পিস ২৫০০ পিস লোহা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। ৮ জুলাই আক্কাস আলী ফকির (৪০) আরেক চোরকে আটক করা হয় এবং ১২ জুলাই মোঃ রাজিব মিয়া (৩৮) ও মোঃ সোহাগ নামে আরো দুই চোরকে কে আটক করে নৌ পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত চোরদের আদালতে সোপার্দ করা হলে আসামীরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে চুরির ঘটনা স্বীকার করে।
উল্লেখ্য যে হাইমচর থানাধীন হাইমচর ইউনিয়নস্থ চর পক্ষিদিয়া মেঘনা নদী কিনারা মল্লিকা গুচ্ছগ্রামে সরকারি ভাবে ৬০টি ঘর নির্মাণ করে দেয় এবং ঘরে এলাকার লোকজন বসবাস করে আসতেছিল। নদী ভাঙ্গনের ফলে ৬০টি ঘর থেকে ১৮টি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় বাকী ৪২টি ঘরে লোকজন বসবাস করতে ছিল। গত ২৪ জুন বিকাল অনুমান ০৪.৩০ ঘটিকা হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), ৫নং হাইমচর ইউপি চেয়াম্যান চর পক্ষিদিয়া মল্লিক কান্দি গুচ্ছগ্রাম পরিদর্শনকালে ৪২টি ঘরের মধ্যে ৩৩টি লোকজনদেরকে বসবাসরত অবস্থায় দেখতে পায়। অবশিষ্ট ৯টি ঘর খালি ছিল। খরস্রোতা মেঘনা ভাঙ্গনের ফলে গুচ্ছগ্রামের ঘরে বসবাসরত লোকজন বিগত ৮/৯ দিন পূর্ব হইতে বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়। গত ০৪ জুন সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর হাইমচর, চাঁদপুরে মৌখিক নির্দেশে উপ-সহকারী কর্মকর্তা, হাইমচর সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস মোঃ সৈয়দ আহমেদ পাটওয়ারী ও নাসির উদ্দিন মল্লিক কান্দি গুচ্ছগ্রাম দেখতে গেলে দেখা যায় যে, বসবাসরত অন্যত্র চলে যাওয়ায় সরকারিভাবে নির্মানাধীন থাকা ৪২টি ঘরের নির্ম কাঠামোর বিভিন্ন পরিমাপের লোহার এ্যাঙ্গেল, লোহার দরজা, লোহার জানালা, লোহার বেকি, চালে টিন, সিমেন্টের পিলার আরো জিনিসপত্র নাই।
এই ঘটনায় উপ-সহকারী কর্মকর্তা, হাইমচর সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস মোঃ সৈয়দ আহমেদ পাটওয়ারী বাদী হয়ে ৫ জুলাই অজ্ঞাতনামা আসামি করে ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি মর্মে হাইমচর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। নদীর তীরবর্তী হওয়ার ফলে মামলার তদন্ত বার নীল কমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এর উপর নস্ত হয়।