চাঁদপুর পৌরসভার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১শ’ ১৪ কোটি ২৪ লাখ ১৬ হাজার ২শ’ ১৯ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে স্থানীয় সাংবাদিক ও সচেতন মহলের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে পৌরসভার মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল এ বাজেট ঘোষণা করেন। বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ৫০ কোটি টাকার দেনা নিয়ে এ পরিষদ কাজ শুরু করে, বর্তমান মেয়রের দুই বছর আট মাসের মধ্যে ৩২ কোটি টাকার দেনা পরিষোদ করেছেন। দেনার মধ্যে বিশাল অংকটা হচ্ছে বিদ্যুৎ বিল যা ২৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। সকল কিছুর উত্তোরন ঘটিয়ে পৌর মেয়র এবছর ১১৪ কোটি টাকার বিশাল ও বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট পেশ করেছে। পৌর মেয়র পৌরসভার বর্ধিত এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য অনেক কাজ করেছেন। অতীত পরিষদের ২০০৭ সালের পৌরকর্মচারীদের গ্রেজুয়েটির টাকা বর্তমান পরিষদ পরিষোদ করেছেন। বর্তমান পরিষদ একটাও টেক্স বৃদ্ধি করেনি তা নিয়ে অনেকের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে। তবে চাঁদপুর পৌরসভা টেক্স না বাড়িয়ে টেক্স নেট বাড়িয়েছে। পৌর মেয়র নির্বচনের সময় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেনন তা বাকী সময়ে শেষ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। মেয়র ও তার পরিষদ কর্মচারীদের বয়েয়া বেতন পরিষদ না হওয়া পর্যন্ত ওনাদের ভাতা নেননি। রাজনীতির সুস্থধারা চর্চার জন্য মেয়র তার বক্তব্যে অনেক কথা বলেনি বলে উল্ল্যেখ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, খুব শীঘ্রই আধুনিক নৌ বন্দরের কাজ শুরু হবে। এসবি খাল ও বিদ্যাবতি খালকে খনন পূর্বক পরিচ্ছন্ন রাখতে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা কাজ করবে। পর্যটনকেন্দ্র হওয়ার বিষয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। অবহেলিত এলাকায় সোলার স্ট্রিট লাইন অনেক লাগানো হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে অনেক কাজ হয়েছে আরও অনেক উন্নয়ন কাজ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
পৌর মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল তার বক্তব্যে বলেন, পূর্বতন পৌর পরিষদের বিরাট দেনা নিয়ে আমরা কাজ আমি যেদিন দায়িত্ব নেই তখন ২২ হাজার টাকা ব্যাংক ছিল। ৫০ কোটি ট্কার অধিক দেনা নিয়ে পরিষদের কাজ শুরু করি। তারমধ্যে বিদ্যুৎবিল ছিল ২৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। পৌর কর্মচারীদের ৮ থেকে ৯ মাসের বকেয়া বেতন আমরা দিয়েছি। আমরা দায়িত্ব পালন করতে দিয়ে দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করেছি। রাজনীতির সুস্থধারা চর্চার জন্য আমি বক্তব্যে অনেককিছু উল্ল্যেখ করলাম না। আমি আসার পূর্বে বাজেট ছিল ২৫ কোটি টাকা। এবছর আমরা তা ১১৪ কোটির বাজেট পেশ করছি। এরমধ্যে রাজস্ব বাজেট ধরা হয়েছে ৪২ কোটি টাকা। ২ বছর ৮ মাসে পৌরসভা নিজস্ব আয় থেকে ৫০ কোটি টাকার কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছি। যেভাবে আমরা পৌরসভাটিকে পেয়েছি তাতে মনে হয়নি পৌরসভার কোন অবিভাকক ছিল।
বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র মো.আব্দুল লতিফ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি।
চাঁদপুর ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বাবু পাটওয়ারীর পরিচালনায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য রাখেন বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক শহীদ পাটওয়ারী, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, রহিম বাদশা, সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, সময় টেলিভিশনের চাঁদপুরস্থ প্রতিনিধ ফারুক আহমেদ, আলোকিত বাংলাদেশের চাঁদপুরস্থ প্রতিনিধ শওকত আলী, দৈনিক সুদীপ্ত চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এম আর ইসলাম বাবু, চাঁদপুর কন্ঠের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান।