ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় টুইট করায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অতিরিক্ত সচিব আসাদ আলম সিয়াম জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধির পক্ষে ভারপ্রাপ্ত প্রধানকে ডেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধিকে ডেকেছি। তবে দুর্ভাগ্যবশত তিনি না থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান এসেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাকে বলেছি, ঢাকায় একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে, কারা করেছে আমরা জানি না। এখানে লোক তো মারাও যায়নি। তবে কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
মোমেন বলেন, ‘আমরা বলেছি, জাতিসংঘের নাম ব্যবহার করে টুইট বার্তা দিতে পারে। এ বিষয়ে কোড অফ কনডাক্ট (কূটনৈতিক শিষ্টাচার) আছে কিনা, আমরা সেটাই তাদের কাছে জানতে চেয়েছি।’
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা এবং যুক্তরাষ্ট্রে এক বাংলাদেশির মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পাশ্ববর্তী দেশ পশ্চিমবঙ্গে ৪০জনের মতো লোক মারা গেছে। সেখানে জাতিসংঘের প্রতিনিধি কোনো বক্তব্য দেননি। গতকাল আমেরিকায় এক বাংলাদেশি মারা গেছেন। কিন্তু জাতিসংঘের প্রতিনিধি বা রাষ্ট্রদূতরা দল বেঁধে প্রতিক্রিয়া দেয়নি। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পৃথিবীর আশ্চর্য।’
গত সোমবার ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনের শেষ সময়ে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্রের সামনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরদিন মঙ্গলবার হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
এক টুইট বার্তায় সহিংসতা ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেকের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করার আহ্বান জানান গোয়েন লুইস।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে হিরো আলমের ওপর হামলার প্রসঙ্গ। এ সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার যেকোনো প্রতিবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে, স্বচ্ছভাবে ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে এবং সহিংসতার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য উৎসাহিত করি।