কচুয়ায় সুন্দরী খালে কচুরিপানা অবমুক্ত না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন মৎস্য চাষী ও এলাকাবাসী। কচুয়া উপজেলার লস্করী থেকে পাশ^বর্তী মতলব উপজেলার চারটভাঙ্গা প্রায় ১১ কিলোমিটার পর্যন্ত ওই খালে কচুরিপানা জমাট রয়েছে। ফলে স্থানীয় এলাকাবাসী ও মৎস্যচাষীরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন ওই খাল থেকে বিষধর সাপ ও বিচ্চু সাধারন মানুষকে আক্রমন করছেন। খালে কচুরিপানার জমাট থাকায় বিষধর পোকা মাকড়ের কারনে খালের পাশ দিয়ে চলাচল করতে হিমসিম পোহাতে হয়। বিশেষ করে ওই সুন্দরী খাল দিয়ে নৌকা কিংবা যাতায়াত করতে পারছে না। একসময় ওই খাল দিয়ে প্রতিনিয়ত নৌকা চলাচল করত। দ্রুত ওই সুন্দরী খালে কচুরিপানা অবমুক্ত না করা হলে নৌকার যাতায়াত ও মানুষের চলাচলে আরো ব্যাঘাত ঘটবে বলেও জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় অধিবাসী তাজুল ইসলাম,গোলামুর রহমান,রুহুল আমিন, ছাদেক ব্যাপারী বলেন, প্রতিদিন ওই খাল থেকে রাস্তায় বিষধর সাপ ও বিচ্চুর কারনে ভয়ে আতংকে চলাচল করতে হয়। দ্রুত ওই খাল থেকে কচুরিপানা অবমুক্ত করতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মজুমদার জয় বলেন, সুন্দরী খালের ঐতিহ্য রক্ষা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে খালে জমে থাকা কচুরীপানা ও ময়লা আবর্জনা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাসুদুল হাছান বলেন, একসময় ওই খালে দেশীয় মাছ পাওয়া যেত। বর্তমানে ওই খালে কচুরিপানার জমাট থাকায় নৌকাও চলাচল করতে পারছেন না। তাছাড়া শুনেছি স্থানীয় বাসিন্দরা বিষধর সাপ ও বিভিন্ন পোকা মাকড়ে আংতঙ্কে রয়েছে। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে ওই খাল থেকে কচুরিপানা অবমুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।