মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি দরবার শরীফের পীর আল্লামা মাসউদ আহমাদ বোরহানী বলেছেন- আহলে বায়তে রাসূল (স.) কে তাজিমের সাথে স্মরন করার নামই হচ্ছে ঈমান।
৬১ হিজরীর মোহররম মাসে হৃদয়বিদারক একটি ঘটনা শাহাদাতে হুসাইন (রাঃ)। বলাবাহুল্য যে, উম্মতের জন্য ইমামে হোসাইন (রঃ) শাহাদৎ সহজ নয়। কিন্তু নবী (সা.)-এরই তো শিক্ষা ‘নিশ্চয়ই চোখ অশ্রুসজল হয়, হৃদয়ব্যথিত হয়, তবে আমরা মুখে এমন কিছু উচ্চারণ করি না যা আমাদের রবের কাছে অপছন্দনীয়। এ মাসে যেসব অনৈসলামিক কাজকর্ম ঘটতে দেখা যায় তার মধ্যে তাজিয়া, শোকগাঁথা পাঠ, শোক পালন, মিছিল ও র্যালি বের করা, শোক প্রকাশার্থে শরীরকে রক্তাক্ত করা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত’।
আল্লামা মাসউদ আহমাদ বলেন, এ মাসের করণীয় বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে, তওবা-ইস্তেগফার, নফল রোজা এবং অন্যান্য নেক আমল বেশি করা। এসব বিষয়ে যত্মবান হওয়া এবং সব ধরনের কুসংস্কার ও গর্হিত রসম-রেওয়াজ থেকে বেঁচে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক চলাই মুসলমানের একান্ত কর্তব্য।
তিনি (২৯ জুলাই) শনিবার নেদায়ে ইসলাম এর আয়োজনে শোহাদায়ে কারবালা দিবস স্মরণে শোক মিছিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
ফরাজিকান্দির দরবার শরীফের ছাত্র ও আশেকান ভক্তবৃন্দ উপস্থিত হয়ে শোক মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
সকাল ৭টায় ফরাজিকান্দি কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে ইসলামিয়া মার্কেট নতুন বাজার হয়ে ফরাজিকান্দি কমপ্লেক্স এ এসে শেষ হয় শোক মিছিলটি।