কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নে দোঘর ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসা দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধিনে সদ্য প্রকাশিত দাখিল পরীক্ষায় ১৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে সবাই সাফল্যের সাথে কৃতকার্য হয়। দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ সাফল্য অর্জন করায় মাদ্রাসার শিক্ষক,শিক্ষিকা, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ এলাকাবাসী ।
২০০০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করার পর ২০১৯ সালে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্তি লাভ করে। এমপিওভুক্তি লাভ করলেও অবকাঠামোগত কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। কোমলমতি ৩ শত ১৭ জন শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্যে একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘর ও এলাকাবাসীর অনুদানে নির্মিত তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি পাকা দালান রয়েছে। একটি কক্ষে দাপ্তারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ফলে জরাজীর্ণ টিনের ঘরটি শিক্ষার্থীদের একমাত্র পাঠাদানের কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন নয়ন জানান,বর্তমান সরকার মাদ্রাসা শিক্ষাকে প্রধান্য দিলেও শ্রেনি কক্ষের অভাবে দোঘর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এই অঞ্চলের মেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে একমাত্র মহিলা মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্ত মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার সুযোগ প্রদানের জন্য একাডেমিক ভবন আবশ্যক ।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার অরুপ তালুকদার বলেন,শিক্ষক-শিক্ষিকা ,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রচেষ্টায় এবছর দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে। তাছাড়া অনান্য পরীক্ষায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বরাবর ভালো ফলাফল করে আসছে। একাডেমিক ভবনের সংকট চাড়াও শ্রেনি কক্ষের আসবাবপত্রের সংকট রয়েছে। মাদ্রাসার সুম্মেখে অবস্থিত খেলার মাঠটি ভরাট করা আবশ্যক।
তিনি আরো জানান,মাদ্রাসার সভাপতি মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন নয়নের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপির সুপারিশক্রমে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আলী আশ্রাফ খান সরজমিনে পরিদর্শন করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্যে একটি একাডেমিক ভবনের জরুরী প্রয়োজনীতার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। অভিভাবক ও স্থানীয়রা অচিরেই মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মানে যথাযথ কতৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেছে।