চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার চাঙ্গিনী-নূরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন েেক শিক্ষক সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা বিরাজ করছে। ২০০৫ সালে স্থাপিত হওয়ার পর ২০০৬ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়। শুরু েেক এই বিদ্যালয় এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনসহ সুনামের সাথে পরিচালনা হয়ে আসছে। বর্তমানে শিক্ষক সংকটের কারনে বিদ্যালয়টি সুনাম-সুখ্যাতি ধরে রাখতে চরম হিমসিম খাচ্ছে।
স্টাফ প্যাটার্ণ অনুসারে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মচারি সংখ্যা ১৯। এর মধ্যে শিক্ষকের পদ সংখ্যা রয়েছে ১৩ জন। কিন্তু ৫ জন শিক্ষক রয়েছে মাত্র। ২০১৯ সাল েেক ধর্মীয় সিনিয়র শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গণিত, সমাজ, ভৌত বিজ্ঞান ও কৃষি বিষয়ে ১ জন করে শিক্ষক থাকলেও বাংলা, ইংরেজি, ত্য, শারীরিক শিক্ষা ও ব্যাবসায় শিক্ষায় নেই কোনো শিক্ষক। ৩ জন খন্ডকালীন শিক্ষক দ্বারা এসব বিষয়ে পাঠদান করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা কাক্সিক্ষত শিক্ষা অর্জন করতে পারছেনা। শিক্ষক সংকটের কারনে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় অভিভাকরা খুবই উদ্বিগ্ন। অবকাঠামোগত দিক থেকে বিদ্যালয়ে রয়েছে তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন ও এল আকৃতির সাত কক্ষ বিশিষ্ট টিনের ঘর। টিনের ঘরটির জরাজীর্ণ অবস্থা। টিনে মরিচা ধরে ফুটো হয়ে যাওয়ায় একটু খানি বৃষ্টি হলেই জপজপিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। এতে শ্রেনি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, গ্রুপ ভিত্তিক শ্রেনি কক্ষসহ ১০ টি শ্রেনি কক্ষের প্রয়োজন। তাছাড়া প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকদের অফিস কক্ষ, লাইব্রেরী কক্ষ, কম্পিউটার ল্যাব কক্ষ, মিলনায়তন এসব মিলিয়ে মোট ১৫ টি কক্ষের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে জরাজীর্ন টিনের ঘরের ৭ টি কক্ষসহ কক্ষ সংখ্যা হচ্ছে ১০টি মাত্র। এ অবস্থায় নতুন একাডেমিক ভবন একান্ত প্রয়োজন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ ইউসুফ জানান, শিক্ষক নিয়োগের জন্য দফায় দফায় এনটিআরসি’র নিকট শূণ্য পদের তালিকা প্রেরণ করা সত্ত্বেও কোনো শিক্ষক পাচ্ছিনা। তাছাড়া নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়ে আসছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আলী আশরাফ খান জানান, এ বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের দৃষ্টি আকর্ষন করা হবে।