কচুয়া উপজেলার সাচার পূর্ব বাজারে সম্পত্তিগত পারিবারিক কলহের জের ধরে এক অধ্যক্ষ ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রায় ১২ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন প্রতিপক্ষের লোকজন। বুধবার রাত অনুমান ১২টার দিকে তালা ঝুলিয়ে দিলে পরদিন বৃহস্পতিবার ১২টার দিকে কচুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিলের নির্দেশে সাচার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. কবির হোসেন এর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনটি তালা খুলে দেন।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার কচুয়া উপজেলার দর্গাপুর গ্রামের অধিবাসী,মতলব দক্ষিন উপজেলার আশি^নপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ জিএম আব্দুল মান্নান জানান, ২০নং সাচার মৌজায় ১৩০৯ দাগে সাচার বড় মসজিদ সংলগ্ন উত্তর পাশে ২.৪৪ শতাংশ ভূমি পৈর্তৃক সত্রে মালিক হয়ে সামনে দোকান ও পিছনে স্ত্রী সন্তান নিয়ে প্রায় ২০ বছর ধরে শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করে আসছি। সম্প্রতি ওই সম্পত্তি একই বাড়ির মফিজ উদ্দিন ও আলাউদ্দিন দুলাল গংরা নিজেদের দাবি করে বুধবার রাতের আধাঁরে দোকানের দক্ষিন পাশে অন্যায় ভাবে সাটারে তালা দিয়ে আমাকে ও আমার স্ত্রী সন্তানদের অবরুদ্ধ করে রাখে এবং হয়রানি করে। সকালে তালা খুলতে না পেরে আমার ভাই আবুল কালামের মাধ্যমে থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ দুপুরে এসে তিনটি তালা খুলে দেয়। উল্লেখিত সম্পত্তি নিয়ে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রতিপক্ষদের হুমকিÑধমকি দেয়ার ঘটনায় স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
প্রতিপক্ষ আলাউদ্দিন দুলাল মিয়া মুঠোফোনে তালা দেয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমাদের জায়গায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা মামলা থাকা সত্ত্বেও জিএম আব্দুল মান্নান জোরপূর্বক রাতের আধারে দখল করে স্থাপনা নির্মান চেষ্টা করছে।
কচুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল জানান, অধ্যক্ষকে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ রাখার বিষয়ে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি এবং উল্লেখিত স্থানে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় উভয়কে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছি।