চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে রাতের বেলায় চলাচলের সময় ৩টি ব্লাকহেডজব্দ ও ৬ জনকে আটক করেছে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। (৩ জুলাই) রাতে সাড়ে ৮টার সময় উপজেলার মেঘনা নদীর মোহনপুর সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটককৃত ব্লাকহেড গুলো হলো, দিনের আলো-১, দিনের আলো-২ ও তমাল নেভিগেশন। আটকৃতার হলেন, সাইদুল ইসলাম (৪০), মো. ঝন্টু মিয়া (৩৯), সুমন (৪০), মো. সুলতান (৭০), মো. ফিরোজ মিয়া (৪৭), সুমন (৪৯)।
দিনের আলো -২ এর মাস্টার মো. সুলতান মিয়া জানান, ফরিদপুর থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভর্তি করে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের কাজ হচ্ছে বহন করা। তার মতো প্রতিরাতে বালুবাহী কমপক্ষে শতাধীক বাল্কহেড ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে বাল্কহেডের কাগজপত্র ঠিক আছে।
নৌ-পুলিশ সূত্রে জানাযায়, মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর সীমানায় অসংখ্য বাল্কহেডের কারণে লঞ্চের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। রাতে চলাচল করার সময় এ ধরনের সমস্যায় বেশি পড়তে হচ্ছে। দেখা যায় নদীর মধ্যে যত্রতত্র বাল্কহেড নোঙর করে রাখায় বিশেষ করে রাতের বেলায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেশি থাকে।
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, রাতের অন্ধকারে বাল্কহেড চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা বাল্কহেডের বেশিরভাগ অংশই পানিতে ডুবে থাকে। এছাড়া লাইটিংয়ের তেমন ব্যবস্থা নেই। এতে করে দ্র্রুতগামী নৌযানের সাথে যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষ ঘটতে পারে। রাতের অন্ধকারে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ করার জন্য আমরা নিয়মিত নদীতে অভিযান পরিচালনা করছি। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।
অভিযানে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. মুনিরুজ্জামন সহ পুলিশ সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।