উত্তর কলকাতার ৬৫বি পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে শতাব্দীর প্রাচীন একটি বাড়ি ভেঙ্গে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে এক কিশোরসহ আরও দুজন। কলকাতা মেডিকেল কলেজে আহতদের চিকিৎসা চলছে। দুর্ঘটনার পরপরই সেখানে উপস্থিত হয় কলকাতা পুলিশসহ দমকল ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ।
জানা গেছে, বুধবার (১৬ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে কলকাতার পাথুরিয়াঘাটায় প্রায় ১০০ বছরের বেশি পুরোনো একটি পাঁচতলা বাড়ির তিন তলার একটি অংশ ভেঙে পড়ে। বিকট শব্দে বাড়ির বাসিন্দারা ভয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশকে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর পর দমকল বাহিনী ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপকে খবর দেওয়া হয়। ভেঙে পড়া ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে বেশ কয়েকজন। তাদের সবাইকে ধ্বংসস্তুপ থেকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়।
আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উদ্ধার হওয়া এক নারীকে মৃত বলে ঘোষণা দেন।
নিহত ওই নারীর নাম ইলা আগারওয়াল। তিনি, তার স্বামী অজয় আগারওয়াল এবং তাদের ছেলে রাঘব আগারওয়াল ঘটনার সময় ওই বাড়িতেই ছিলেন। অজয় আগারওয়ালের অবস্থা খুবই সংকটজনক। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের ছেলের আঘাত গুরুতর নয় তবে সে কিছুটা আতঙ্কের (ট্রমার) মধ্যে আছে। তারা সবাই ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ওই পুরোনো বাড়িতে ১৬টি পরিবার থাকতো। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন সদস্য সেখানে বসবাস করছিলেন। এই বাড়িটি কলকাতা কর্পোরেশন তিন বছর আগে বিপজ্জনক বাড়ি হিসেবে ঘোষণা করে। বাড়ির দেওয়ালে নোটিশ বোর্ডও টানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও সেখান থেকে লোকজন সরে যায়নি।
ওই বাড়ির এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ আগে বাড়িটির একাংশ ভেঙে পড়েছিল। বাড়িটিতে গত ২০ বছর ধরে কোনো মেরামতের কাজ হয়নি। বার বার বাড়ির মালিককে বলেও কোনো লাভ হয়নি।