কচুয়া উপজেলার সাহেদাপুর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ীতে স্বামীর অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবীতে লাকী আক্তার নামে’র এক যুবতী দু’দিন ধরে অনশন করছেন। লাকী আক্তার গাজীপুর জেলার টঙ্গী উপজেলাধীন পূর্ব আরিচাপুর গ্রামের নোয়াব আলী’র মেয়ে। লাকী আক্তার সাহেদাপুর পাটওয়ারী বাড়ির আবুল খায়ের পাটওয়ারীর পুত্র সাজেদুল হাসান পাটওয়ারীর সাথে প্রথমে পরিচয় থেকে প্রেম, অতপর চলতি বছরের ১৯ মার্চ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৪নং ওয়ার্ডের ম্যারিজ রেজিষ্ট্রার কাজী মোহাম্মদ আব্দুস সালামের মাধ্যমে ৬ লক্ষ টাকা মোহরানা ধার্য্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর তারা উভয় গাজীপুরের টঙ্গীতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো।
লাকী আক্তার জানায়, টঙ্গী এলাকায় প্রায় ৪ মাস একসাথে বসবাসের পর হঠাৎ করে সাজেদুল হাসান পাটোয়ারী বাসায় আসা বন্ধ করে দেয় ও আমার আর কোন খোজখবর নেয়নি। তার সন্ধান পাওয়ার জন্য ফোনে বহু চেষ্টা করে না পেয়ে বাধ্য হয়ে স্বামীর অধিকার পাওয়ার জন্য ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় তার গ্রামের বাড়ী কচুয়ার সাহেদাপুরে চলে আসি। তিনি সাংবাদিকদের আরো জানান, আমার শ্বশুর আমাকে পুত্রবধু হিসেবে মেনে নেয়নি। প্রায় ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর এখন আপনারা সাংবাদিকরা আসায় তারা আমাকে ঘরে তুলে নিবে বলছে। আমি আমার স্বামীর অধিকার চাই।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মিন্টু মিয়া জানান, লাকী আক্তার বিষয়টি আমাকে ফোনে জানিয়েছেন। বিষয়টি উভয়ের সাথে কথা বলে সমাধান করা হবে।
সাজেদুল হাসান পাটোয়ারীর পিতা আবুল খায়ের পাটওয়ারী মুঠোফোনে জানান, লাকী আক্তার ও সাজেদুল হাসান যথাযথ নিয়মে যদি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে থাকে তাহলে লাকীকে পুত্রবধু হিসেবে ঘরে তুলে নেব। সাজেদুল হাসানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। বাড়িতে না এসে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে এলাকাবাসী জানান।
কচুয়া থানার ওসি ইব্রাহিম খলিল জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।