চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও পৌর যুবদলের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৩০-৪০ জন আহত হয়েছে।
২৬ আগস্ট শনিবার বিকেলে উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের শোল্লা বাজারস্থ শোল্লা আশেক আলী স্কুল এন্ড কলেজের সম্মেলন কক্ষে যুবদলের সম্মেলন কক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় সকল পর্যায়ের নেতাদের সামনেই বেশ কিছু ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এরপর উভয়ের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হামলার ঘটনায় ঘটে।
যুবদলের নেতাকর্মীরা জানান, হঠাৎ সম্মেলনকে ঘিরে ককটেল বিস্ফোরণ ও চেয়ার ছোড়াছড়ি ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে কমপক্ষে ৪০জন রক্তাক্ত জখম হয়। পৌর কমিটির সভাপতি প্রার্থী দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর যুবদলের সম্মেলন সাময়িক স্থগিত রয়েছে। হামলার ঘটনার পর বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নেতা কর্মীরা ছুটাছুটি করতে দেখা যায়।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মহসিন মোল্লা জানান, সম্মেলনের সবকিছুই ঠিক ছিল। সঠিক সময়ে শুরু হয় সম্মেলন। আমি সম্মেলনের সভাপতি ছিলাম। সঞ্চালক ছিলেন পৌর যুবদলের আহবায়ক ইমাম হোসেন। তিনি বক্তব্যের জন্য নাম ঘোষণা করছিলেন। ওই সময় বক্তব্যের জন্য কেন পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও বর্তমানে সভাপতি প্রার্থী নাজিম ভুঁইয়ার নাম ঘোষণা করা হয়নি এই নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
তিনি আরো জানান, সংঘর্ষে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যার কারণে বাধ্য হয়ে সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করি। সংঘর্ষে ৭-৮জন গুরুতর আহত হয়েছেন। বাকীরা আহত হলেও প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে কর্মীরা আসার কারণে আহতের নাম জানাযায়নি।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মান্নান জানান, যুবদলের সম্মেলন করা হবে আমাদের কাছ থেকে কোন ধরণের অনুমতি নেয়া হয়নি। আমরা সম্মেলন সম্পর্কে জানতাম না। তবে সংঘর্ষের খবর জানতে পেরেছি।