কচুয়া উপজেলার ৭৯নং হারিচাইল-হাসিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায় পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে ফাটল দেখা দেয়ায় ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া ওই বিদ্যালয়ে শ্রেনিকক্ষ সংকটে াকায় শিক্ষাক ও অভিভাবকরা হিমসিমে রয়েছেন। বিদ্যালয়টি ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর েেক সুনামের সাথে ফলাফল অর্জন করে আসছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে জন ৮জন শিক্ষক ও ১২৯জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। কয়েক বছর পূর্বে ওই বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষনা করেন উপজেলা শিক্ষা অফিস। বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষনা হলেও এখনো পর্যন্ত নতুন ভবন হয়নি। ভবনটি জরাজীর্ন হওয়ায় আতংকিত রয়েছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীর বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে শ্রেনিকক্ষ সংকট রয়েছে এবং জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান করছি। আমরা প্রতিদিন ভয়ে থাকি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ে ছোট ২টি ভবন থাকলেও আরো শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন। বর্তমানে ভবনের সমস্যা দারুন ভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত নতুন ভবন নির্মানের দাবি জানান তিনি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি নেহারুন আক্তার বলেন, আমি বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে নতুন ভবন নির্মানের জন্য আবেদন নিবেদন করেছি। ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁিকপূর্ন হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুরাতন ভবনে পাঠদান চলছে। তাই নতুন ভবন নির্মানে দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাছিমা আক্তার বলেন, ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ন কচুয়া উপজেলায় সরকারি ও রেজিস্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো তালিকা প্রণয়ন করে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়গুলোতে ভবন নির্মান ও সংস্কারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।