সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেছেন, জাতির জনককে হত্যা করা হবে মুক্তিযোদ্ধাসহ দেশের মানুষ কখনো কল্পনা করেনি। কিন্তু আজ সকলে একত্রিত হয়ে শোক দিবস অনুষ্ঠান পালন করতে হচ্ছে, এটা ভীষন বেদনার। জাতির পিতাকে দীর্ঘ ১৩ বছর কারাবরণ করতে হয়েছিল। পাকিস্তান কারাগারে থাকার সময় তার সেলের পাশে কবর পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছিল। সে সময় পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দিতে পারেনি। কিন্তু নিজ দেশে নিজেদের মানুষের হাতে শহীদ হতে হলো জাতির জনককে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার সকাল ১১টায় শাহরাস্তি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে শাহরাস্তি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে টেলিকনফারেন্স এর মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, আপনারা একত্রিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। জাতির জনককে যারা হত্যা করেছে তাদের মধ্যে অনেকে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্টজন ছিল। আজকে আমাদের দলের মধ্যে কিছু কুচক্রী ঢুকে দলে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। তারা মুক্তিযুদ্ধাদের অপমান করছে। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে আসার পর েেক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। পাকিস্তান ও তাদের দোসররা জানত বঙ্গবন্ধু বেচে থাকলে বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। আজও সেই স্বাধীনতা বিরোধীচক্র দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তাই সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন তাহলে কোন বাধা আসবে না। যারা অনঐক্য সৃষ্টি করছে তাদের েেক সাবধান থাকবেন। জাতির পিতার আদর্শকে ধারন করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে পৌছে যাবে।
শোক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা লে: এম এ ওয়াদুদ (অব:)। এসময় তিনি বলেন, ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খবর মেজর জিয়াউর রহমানের কাছে পৌছার পর তার উত্তর ছিল সো হোয়াট। তিনি সেদিন এ খবরে খুশি হয়েছিলেন। মুক্তিযেুদ্ধের বিরোধীতাকারীরা আজও বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে আমেরিকা সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে ছিল। আজ আবার নির্বাচনের সময়ে আমেরিকা ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে একাত্ততা প্রকাশ করছে। তাই সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ াকতে হবে। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী করতে আপনরা নিজ নিজ অবস্থান েেক কাজ করবেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান বিএসসি সভাপতিত্বে ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সভাপতি সৈয়দ মোঃ মোকাদ্দেস হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ন রশিদ. স্কোয়ার্ডন লিডার কাজী মফিজুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার মহসিন পাঠান, শেখ মোস্তফা, প্রিন্সিপাল তাজুল ইসলাম, শহীদ পাটওয়রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মাহবুুবুর রহমান স্বপন।