চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর আহ্ম্মদীয়া ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্র হাফেজ সাজেদুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতকারী শাওন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।
৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ আমলি আদালতে ঘাতক শাওন স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেলে মেজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রায়হান ইসলাম শাওন গত ২২ আগস্ট শেষ বিকেলে মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্র সাজেদুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এরপর সাজেদুলের ভাই ঘাতক শাওন ও জুয়েল পাঠানকে আসামী করে ফরিদগঞ্জ থানার একটি মামলায় দায়ের করেন। মামলা নং ২৭।
জানা যায়, গ্রীষ্মকালীন ফুটবল খেলার প্রস্তুতি ম্যাচ ও খেলোয়াড়র যাচাই-বাছাই করতে মাদ্রাসার শিক্ষকরা দশম ও অস্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের মাঠে নামায়। খেলা শুরুর কিছুক্ষণ পর বখাটে শাওন মাঠে গিয়ে দাঁড়ায়। এরপর ফুটবলটি বখাটে শাওনের কাছে গেলে সে বলটি নিয়ে খেলতে থাকে। এসময় ছাত্ররা তার কাছে বল চাইলে ছাত্রদের সাথে অশোভন আচরণ করে। এরমধ্যে সাজেদুল তার কাছ থেকে বলটি নিয়ে গেলে শাওন তাকে বেদম মারধর করে।
ঘটনাটি শিক্ষকরা শুনে ছাত্রদের মাদ্রায় নিয়ে আসে। মাদ্রাসার শিক্ষকরা ঘটনা সামাল দিতে দুই পরিবারকে ডাকে। সাজেদুল ইসলামের পরিবারের লোকজন গিয়ে সাজেদুলকে নিয়ে আসার পথিমধ্যে গাজীপুর বাজারে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ঘাতক শাওন।
একই দিনে সাজেদুলের ভাই থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ ঘাতক শাওনকে আটক করতে ব্যর্থ হয়। ৭ দিন পর ঘাতক শাওন নিজেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে।
এদিকে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা গিয়াস উদ্দিনের গাফিলতির কারণেই শাওন সাজেদুলকে ছুরিকাঘাত করেছে। তারা আরো জানান, তিনি এই মারামারি ঘটনা ঘটার পর পুলিশের সহযোগিতা নিলে এই ঘটনা ঘটতো না।