চাঁদপুর সদর উপজেলার মতলব পেন্নাই সড়কের পাশে ময়দান খোলা মাদ্রারাসা-ই বাগে জান্নাত সংলগ্ন স্থানে সড়ক ও জনপথের রাস্তার পশ্চিম পাশের খালি জায়গায় প্রায় একশত ফুটের বেশি লাম্বায় কৃষক ইমরান খানের বিভিন্ন প্রকারের তরকারি গাছ আগাছা নাশক ওষুধ দিয়ে ধবংস করার অভিযোগ ওই এরাকার ইউসুফ খান’র বিরুদ্ধে। প্রায় লক্ষ টাকার ফসলের ক্ষতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েন কৃষক ইমরান খান।
এই জঘন্যতম ঘটনাটি ঘটে ৩০ আগষ্ট বুধবার এশার পূর্ব মুহূর্তে। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক ইমরান খান জানান, আমরা কয়েক বছর পূর্বে জেলা পরিষদের খালের পরে জায়গাটুকু ক্রয় করি। মতলব থেকে বাবুর হাট পর্যন্ত সড়কের দু পাশের গাছ কাটার কারনে আমাদের জায়গার সামনে সড়ক ও জনপদের রাস্তার পাশের অংশটুকু ফাঁকা হয়ে পড়লে আমি বিভিন্ন প্রকার সার ও কীটনাশক দিয়ে ভূমি উর্বর করে ধুন্দুল , ঢেঁড়শ, পুঁইশাক, সিম, ডাটা বীজ বপন করি। বীজ থেকে তরকারি গাছ হলে আমি ভালোভাবে পরিচর্যা করার করনে ভালো ফলন দেখা দেয়। আমি মাত্র দুই বার তরকারি তুলে ১ম বার চার হাজার টাকা পরেরবার ৫৭০০ টাকা বিক্রি করি। এর ফাঁকে আমি কলাগাছ, আম, জাম, কাঁঠাল গাছ ও রোপন করি। এতে করে ঈর্ষান্বিত হয়ে মৃত সেকান্দর খানের ছেলে মোঃ ইউসুফ খান (৫৫) বুধবার এশার পূর্বে কীটনাশক ওষধ স্পে করে আমার এই ফসল গুলো ধবংস করে। আমার এই ক্ষতিটা করার জন্য ইউসুফ খানকে পরামর্শ দেন পাশের মুদি দোকানদার আব্বাস খানের ছেলে জমির খান (৩৮)। আর এতে সহযোগিতা করেন ইউসুফ খানের ভাতিজা অলিউল্লাহ খানের ছেলের নাসির খান (৩২)। আমার ফসল গুলো কেন নষ্ট করলো পরের দিন সকালে ইউসুফ খানের কাছে জানতে গেলে সে হুমকি দিয়ে বলে তোর ফসল নষ্ট করেছি, এবার তোরেও দেখে নিবো, পারলে তুই কিছু করিছ। আমি এদের বিচার চাই। এদের শাস্তি চাই।
এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এলাকার মফিজ খান ও কালু বেপারী বলেন, আমরা ইউসুফ খান কে ইমরান খানের এই তরকারির গাছ গুলো কীটনাশক ওষুধ দিয়ে ধবংস করতে দেখেছি। আমরা বাঁধা দিলেও সে আমাদেরকে পাত্তা দেয়নি। আমরা বলেছি সমস্যা থাকলে বসে সমাধান করে নেন, ফসল গুলো কি দোষ করলো? কেন নষ্ট করলেন? সে আমাদের কথা শুনে না। আমরা এই জঘন্যতম কাজের জন্য ইউসুফ খানে বিচার চাই।
এদিকে এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউসুফ খান বলেন, এই জায়গা ও খাল আমাদের বাপদাদার। ইমরানকে বহুবার বলেছি এই গাছগুলো সরিয়ে ফেলতে, সে সরায়নি, তাই আমি কীটনাশক দিয়ে মেরে পেলেছি।
ইমরান খানের ফসল লাগানো জায়গাটুকু ইউসুফ খান নিজেদের জায়গা দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে এই জায়গার মালিক হল চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ। খালের মালিক জেলা পরিষদ। মনগড়া ও পেশী শক্তির বলে নিজের জায়গা ও খাল বলে দাবি করেছেন বলে জানান এলাকার লোকজন।