চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলাধীন রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম রূপসা, রামদাসেরবাগ , আনন্দ বাজার থেকে ফরিদগঞ্জে ও রূপসা যাওয়ার প্রায় ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার বেহাল দশায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী।
এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকার সহস্রাধিক লোকজনকে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটি হয়ে উঠে কাদাপূর্ণ।
দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম রূপসা থেকে খন্দকারদের ব্রীজের উপর দিয়ে রামদাসেরবাগ শাহাপুর হয়ে উপজেলার উত্তরাঞ্চলের চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি। একটু বৃষ্টিতে কাদাযুক্ত ও পিচ্ছিল কাঁচা রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত থাকায় খালি পায়ে পথ চলতে হচ্ছে পথচারীদের। এছাড়া জরুরী কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, ভ্যানগাড়ী প্রায়ই খানাখন্দে আটকা পড়তে দেখা যায়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন ও উপজেলা সদরসহ এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে যোগাযোগ ক্ষেত্রে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসা হচ্ছে এই কাঁচা রাস্তাটি। মাত্র ২ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকাকরণ না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রামবাসী।
এ রাস্তা দিয়ে নিয়মিত চলাচল কারী শাহাপুর চৌধুরী গাজী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও শোল্লা আশেক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটিতে কাদা হয়ে যায় তখন আমরা মোটর সাইকেলতো দূরের কথা, পায়ে হেঁটেও এ ২ কিলোমিটার পথ হেটে যেতে হয়।
ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজ’র শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ (১৭), রাকিব হোসেন (১৭) ও উম্মে হাবিবা (১৮) বলেন, আমরা এ রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াতের জন্য অনেক সময় ক্লাসে দেরি হয়। রাস্তাটি পাকাকরন করে দিলে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।
রামদাসেরবাগ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের মাদ্রাসার প্রায় ৩ শত শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় আসার একমাত্র রাস্তা এটি। রাস্তাটি কাঁচা হওয়াতে অল্পবৃষ্টিতে মারাত্মক ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে যায়। রাস্তাটি পাকাকরণ হলে আমাদের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব হবে। একই কথা জানিয়েছেন, শাহাপুর চৌধুরী গাজী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও.আবু তাহের।
রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কাউসারুল আলম কামরুল এ রাস্তাটি দিয়ে চলচল কারীদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি অনেকবার এ রাস্তাটির বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে জানিয়েছি।
উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহমেদ বলেন, রাস্তাটির আইডি আমার জানা নেই। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।