সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ‘বিশ্ব পানি সংস্থা’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন। নবগঠিত সংস্থাটির সদর দপ্তর থাকবে রিয়াদে ও এটি পানিসম্পদ রক্ষা করতে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে কাজ করবে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) এসব তথ্য জানায়।
এসপিএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সংস্থার উদ্দেশ্যগুলো হলো, জ্ঞান ও দক্ষতার বিনিময়, জলীয় প্রযুক্তির অগ্রগতি, উদ্ভাবনের উদ্দীপনা, গবেষণা ও উন্নয়ন অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া। সংস্থাটি বিশ্বের সবার জন্য পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে পানিসম্পদের দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করবে ও উচ্চ-অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প পরিচালনাসহ অর্থায়নে সক্রিয় সমর্থন দেবে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই উদ্যোগটি বিশ্বব্যাপী পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলো মোকাবিলায় সৌদি আরবের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে। পাশাপাশি এটি পরিবেশের টেকসই উন্নয়নের প্রতি সৌদি আরবের বৃহত্তর উত্সর্গের সঙ্গেও সাদৃশ্যপূর্ণ।
মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে জনপ্রতি পানির ব্যবহার অত্যন্ত বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পানি ব্যবহারকারীদের মধ্যে দেশটি অন্যতম। এ কারণে এটির ভূগর্ভের পানি শেষ হয়ে যাচ্ছে। সৌদি আরবে প্রতিদিন জনপ্রতি গড়ে পানি ব্যবহার করা হয় ২৬৫ লিটার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়ে যা প্রায় দ্বিগুণ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের (ডব্লিউআরআই) অ্যাকুডাক্ট ওয়াটার রিস্ক অ্যাটলাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের যে ২৫ শতাংশ মানুষ পানির চরম সংকটে রয়েছে, তাদের বসবাস মাত্র ২৫টি দেশে। পৃথিবীর দুটি অঞ্চলের মানুষ বেশি পানির সংকটে রয়েছেন। এই দুটি অঞ্চল হলো মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় থাকা পাঁচটি দেশ হলো বাহরাইন, সাইপ্রাস, কুয়েত, লেবানন ও ওমান। বলা হচ্ছে, স্বল্প সময়ের জন্য খরা দেখা দিলেও এই দেশগুলোতে ব্যবহার করার মতো পানি প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে আসে। এই পাঁচটি দেশের বাইরে যে পাঁচটি ঝুঁকিতে রয়েছে সেগুলো হলো সৌদি আরব, চিলি, স্যান ম্যারিনো, বেলজিয়াম ও গ্রিস।
সূত্র: আল অ্যারাবিয়া