মতলব উত্তরে অসহায় পরিবারের বসতঘর জোরপূর্বক বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট সকালে উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ সরদারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুরো উপজেলা জুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ মোসা. আলো আক্তার বাদী হয়ে গত ৩০ আগস্ট সাত জনকে বিবাদী করে চাঁদপুরে মোকাম বিজ্ঞ বিচারিক আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা হলেন, রজ্জা গাজী (৩৫), নবী মিজি (৪০), সুমন (৩২), নাছির গাজী (৪০), মনির গাজী (৪০), জমু (৪২), বশির (৪০) অজ্ঞাত ১৫/২০জন।
এজাহার সূত্রে জানাযায়, বাদী মোসা. আলো আক্তার সহজ সরল প্রকৃতির মহিলা পক্ষান্তর বিবাদীরা দুর্দান্ত লাঠিয়াল প্রকৃতির লোক। বাদীনির স্বামী রহমান দিন মজুরের কাজ করেন। বিধায় বিয়ের সময় আলো আক্তারের পরিবার ২ লাখ টাকা ব্যায়ে ঘর উপহার হিসেবে প্রদান করে। স্বামী সহজ সরল হওয়ায় বিবাদীরা জোরপূর্বক সম্পত্তি দখল করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ইতিমধ্যে বাদী ও তাহার স্বামীকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে ভিটা বাড়ী দখলের জন্য মারাত্মক ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ঘটনার দিন বাদীনির স্বামী রহমান কাজ করার জন্য বাহির হইলে উল্লেখিত আসামীসহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০জন জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বেইনীভাবে জনতাবদ্ধে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ মারধর করিয়া দোচালা টিনের ঘরটি ভাংচুর করিয়া অন্যত্র নেওয়াসহ ৮ আনা স্বর্ণের চেইন, নগদ ৫ হাজার টাকা
ব্যবহৃত ৩ ভরি ওজনের রুপার নুপুর নিয়া যায়। ওই সময়ে আসবাবপত্র ভেঙ্গে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। বাদীনির ডাক চিৎকারে লোকজন আসলে ও আসামীদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারে নাই। উপরোক্ত বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিলে বাদীনি কিংবা তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বিবাদীরা।
মামলার বাদী আলো আক্তার জানান, আমরা গরীব মানুষ। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। আশা করি ন্যায় বিচার পাবো। উপরোক্ত আসামীদের আটক করতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে বিট পুলিশিং কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান বলেন, ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেছে। ইউপি সদস্যকে বলেছি ঘরটি যে স্থানে ছিল সেখানে পুনরায় রেখে আসতে।