মতলব উত্তরে স্থানীয় শালিসে বসতঘর জোরপূর্বক বিক্রির ঘটনা ১২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও ঘর বুঝে পায়নি ভুক্তভোগী আলো আক্তার। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন থেকে একাধীকবার বলা হলেও দিমু দিচ্ছি বলে কালক্ষেপন করছে স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম কাদির।
গত ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মাদক, নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ’সহ সকল প্রকার অপরাধ প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিট পুলিশিং সভায় মতলব উত্তর থানাস ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন উপস্থিত ইউপি সদস্য গোলাম কাদিরকে ঘর পূর্বের স্থানে পূর্ণঃনির্মাণের নির্দেশ প্রদান করা হলেও অদৌবদি ঘরটি পূর্বের ফেরৎ আসেনি। কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে এমনটি হচ্ছে বলে ধারণা করছে সুধীজনরা।
জানাযায়, দক্ষিণ সরদারকান্দি গ্রামের রাজ্জাক ঢালীর ছেলে রহমান ও মৃত শরিফ আলী মিজির ছেলে শিবলু ও নবী অবৈধ ব্যবসার লেনদেন ছিল বিধায় গত ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার স্থানীয় শালিসে জোরপূর্বকক রহমানের ঘর অন্যত্র বিক্রি দেয় ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে উপস্থিত শালিসগণরা। উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ সরদারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষতিগ্রস্থ মোসা. আলো আক্তার বাদী হয়ে গত ৩০ আগস্ট সাত জনকে বিবাদী ও অজ্ঞাত ১৫/২০জনকে আসামী করে চাঁদপুরে মোকাম বিজ্ঞ বিচারিক আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী আলো আক্তার জানান, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। আশা করি ন্যায় বিচার পাবো।
এ প্রসঙ্গে বিট পুলিশিং কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান বলেন, আমি একাধীকবার ইউপি সদস্য গোলাম কাদিরকে বলেছি সে বলছে আজ-আগামীকাল। আজ যদি ঘর পর্বের স্থানে স্থাপন না করে তাহলে আমি আইনী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবো।