পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক মতলব উত্তর উপজেলা শাখার কর্মকর্তা কর্মচারী ও উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ আগষ্ট রবিবার সকালে মতলব উত্তর উপজেলা অডিটোরিয়াম পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক মতলব উত্তর উপজেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. নূরুল আমিন রুহুল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র লায়ন আরিফ উল্লাহ সরকার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক চাঁদপুর জেলা (আঞ্চলিক) দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরিয়ত উল্লাহ সায়েম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসানের সভাপতিত্বে ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মতলব উত্তর উপজেলা শাখা ব্যবস্থাপক আতাউর রহমানের পরিচালনায় আরো বক্তব্য দেন- জেলা পরিষদের সদস্য সরকার মো. আলাউদ্দিন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য তাছলিমা আক্তার আখি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও গজরা ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ মাস্টার, ফতেপুর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, ফরাজিকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান মো. জহির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি রহমত উল্লাহ চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক নূর নবী খান, সাংবাদিক আরাফাত আল-আমীন, সুবিধাভোগী নজরুল ইসলাম নজির, কানন রানী শীল প্রমুখ।
এ্যাড. নূরুল আমিন রুহুল এমপি বলেন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের একক সর্ববৃহৎ প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের মোট দরিদ্র জনগোষ্ঠির ১০ শতাংশেরও অধিক পরিবারের দারিদ্র্য বিমোচনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠির দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পপনা রয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকৃতি ও ইকোসিস্টেমকে ব্যবহার করে স্থানীয় সম্পদ, সময় ও মানব শক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার তথা জীবিকায়নের মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্প দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে সঞ্চয়ের মানসিকতা তৈরি করেছে। সক্রিয় অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একজন ব্যক্তি এ প্রকল্পের মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবেন। দেশের সার্বিক আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে, রাখবে।
গ্রামীণ এলাকার মানুষকে আর্থসামাজিক কার্যক্রম চালাতে সক্ষম করার জন্য কৃষকসহ গ্রামীণ জনগণকে অর্থ সরবরাহ ও জমা করা এবং তাদের ঋণ দেয়াকে বোঝায়। গ্রামীণ অর্থের উৎসের মধ্যে রয়েছে ছোট এবং বড় আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেগুলো গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ছোট আকারের আর্থিক পরিষেবা প্রদান করে। সে সঙ্গে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ এবং অন্যান্য ছোট ও মাঝারি গ্রামীণ উদ্যোগকে বড় আকারের আর্থিক পরিষেবা প্রদান করে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক।