চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর পৌরসভার সারপাড় গ্রামে খরিদকৃত ফসলী জমির মালিক মিশু খানের বাবা মোখলেছুর রহমান খান নিজে জমির আগাছা পরিস্কার করতে গেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন রাফেয়া আবেদীন গং।
বর্তমানে জমির মালিক মিশু খান প্রবাসে থাকলেও পিতা মোখলেছুর রহমান খান ওই জমির দেখাশোনা ও চাষাবাদ করেন। মোখলেছুর রহমান খান জানান, আমার ছেলে মিশু খান সারপাড় গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম কামরুল এহসান শান্তি খানের কাছ থেকে (জমির মৌজা নং-সাবেক ১৮২ হাল ২০০ নং।
খতিয়ান এসএ-১২৭/১৮৭/১৯৮ নং বিএস চূড়ান্ত ১৫০) মধ্যে ৪৮ শতাংশ জমি আমার ছেলে গত ২৭/০৮/২০১৮ইং তারিখে খরিদসূত্রে মালিক ও দখলদার। যার দলিল নং-৩১৪৬। আর সেই জমির আগাছা ৬ সেপ্টেম্বর পরিস্কার করি। এরই প্রেক্ষিতে রাফেয়া আবেদীন গং আমার বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে।
মোখলেছুর রহমান খান অভিযোগ করে আরো জানান, কামারুল এহসান শান্তি খান আমার জেঠাতো ভাই। আমি যতটুকু জানি আমার জেঠাতো ভাই কামরুল এহসান শান্তি খানের সাথে রাফেয়া আবেদীনের কোনো সম্পর্ক নাই। পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে উভয়ের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আমাকে বিভিন্ন সময় তার বিভিন্ন মামলার মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার জন্য প্ররোচনা করে। আমি রাজি না হলে আমাকে বিভিন্ন সময় হয়রানি ও হুমকি-ধমকি প্রদান করে। আমার ছেলে মিশু খান এই সম্পত্তিটি ২০১৮ সালে খরিদ করে। আর এরই জের ধরে ওইদিন আমাকের গাছ কাটার বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিয়ে অপপ্রচার করছে। আমি এ অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে রাফেয়া আবেদীনের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে শত চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মোখলেছুর রহমান খান জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।