সিগারেট বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে গরম পানি ছুঁেড় মো.মুকবুল খান নামের এক চা দোকানদারকে শরীর ঝলসে দিয়েছে কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও কচুয়া পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. মাহবুব আলম। গত শুক্রবার রাতে কচুয়া বিশ^রোড এলাকায় এই জঘন্যতম হামলার শিকার হয় ব্যবসায়ী মকবুল খান। মুকবুল খান কচুয়া বিশ্বরোড এলাকার চায়ের দোকানদার। তার বাড়ি কচুয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কোয়া গ্রাম।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দোকানদার মো. মকবুল খান জানান, দুই ক্রেতার কাছে সিগারেট বিক্রি করার পর ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম সিগারেট কেনাকে কেন্দ্র করে মুকবুল খানকে দোকানের ট্রে ও গরম পানির কেটলি ছুঁড়ে মারেন। গরম পানি ছুড়েঁ মারার কারন জানতে চাইলে তিনি আরো জানান, রাতে প্রথমে ভাইস চেয়ারম্যানের কথা বলে একজন লোক ৩৩০ টাকায় এক প্যাকেট সিগারেট কিনে নেয়। কিছুক্ষন পর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম ক্ষিপ্ত হয়ে গালমন্দ করতে করতে আমাকে মারতে ছুটে আসে। একপর্যায়ে মাহবুব আলম আমার শরীরে চায়ের ক্যাটলিতে থাকা গরম পানিসহ ছুঁড়ে মারেন। এতে আমার শরীর ঝলসে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলমের ভাই কচুয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কোয়া গ্রামের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন বিভিন্ন হুমকি দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়।পরে অবস্থায় অবনতি দেখে শনিবার দুপুরে পরিবারের লোকজন আমাকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করায়।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. কামরুন নাহার জানান, শরীর ঝলসানো অবস্থায় মুকবুল নামে এক লোক হাসপাতালে আসলে তাকে আমরা ভর্তি নেই। তার শরীরের পিঠ ও দুই হাতে কিছু অংশ ঝলসে গেছে।
অভিযুক্ত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম জানান, ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। কয়েকজন যুবকের সাথে দোকানির হট্টগোল হয়। ওই সময় কেটলির পানি ছিটকে গিয়ে সে আহত হয়।
ঘটনার পর থেকে মুকবুল খান ও তার পরিবার ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম ও তার ভাই সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুনের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুকবুল খান ও তার পরিবার ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম ও তার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবী জানান।