ফরিদগঞ্জ বিভিন্ন সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির হিড়িক পড়েছে। এই নিয়ে জন মনে আতংক দেখা দিয়েছে। সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব প্রায় অনেক ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহের ব্যবধানে একই এলাকায় একই কায়দায় তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি সংগঠিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৩ বার চুরির ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে চোরদের আটক করার দাবি স্থানীয়দের। ঘটনাটি উপজেলার পৌর এলাকায় পশ্চিম সাফুয়া বাজারের।
সরজমিনে জানাযায়, পৌর এলাকার সাফুয়া বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিনটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে মনির হোসেন জন্টু মজুমদারের হার্ডওয়ারের দোকানে তালা কেটে প্রবেশ করে চোর। এসময় তার দোকান থেকে নগদ ২লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা ও ৭০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয় বলে তিন জানিয়েছেন। এ নিয়ে ৩বার চুরি হয় মনির হোসেন জন্টুর দোকানে। এর আগে ওই এলাকার নেয়ামত হোসেন, মনা গাজী ও বাবুলের চায়ের দোকানে পালাক্রমে চুরি হয়। এতে প্রায় আরো ২ লক্ষ টাকার মতন ক্ষয়-ক্ষতি হয়। হঠাৎ এমন চুরির ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই সব ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানলেও তাদের গৃহিত ব্যবস্থা দৃশ্যহিন।
ক্ষতি গ্রস্থ ব্যবসায়ী মনির হোসেন জন্টু বলেন, সম্প্রতি সময়ে আমার দোকানে তিন বার চুরি হয়েছে। আমার দোকান থেকে নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যায় চোরের দল। কে বা কাহারা চুরি করে আমি যানি না। আমার দোকানের পরে পাশের চায়ের দোকানে চুরি হয়েছে ক্রমনয়ে। এই চোর কে বা কারা তা আমরা আজও যানিনা।
চুরির ঘটনায় শিকার অপর ব্যবসায়ী নেয়ামত ও মনা গাজী বলেন, দোকানে চা-সিগারেট বিক্রি করে ছেলে- মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কোনো মতে বেঁচে আছি। কিন্তু চোরের যে উপদ্রব শুরু হয়েছে, মনে হয় ভিক্ষা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা। থানা পুলিশও চোরদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে আজও শুনি নাই।
চুরির বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি এ থানায় সদ্য যোগদান করেছি। তবে পূর্বের কয়েকটি চুরির ঘটনার বিষয়ে আবগত হয়েছি। চিহ্নিত চোরদের টার্গেট করে ইতোমধ্যে কয়েকটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছি। সকল প্রকারের অপরাধ নিয়ন্ত্রনে আনতে থানা পুলিশ দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।