ফরিদগঞ্জে সওজ কর্তৃপক্ষ অসহায়! নিজেদের ভূমি বেদখল থেকে মুক্ত করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পাচ্ছেন না। সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন বিভাগের প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানানোর পরও সহযোগিতা পায়নি বলে জানান চাঁদপুর সওজ। ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সওজের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তুলছেন কয়েকজন প্রভাবশালী লোক। যদিও চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি ফরিদগঞ্জ পৌর শহরকে যানজট মুক্ত ও অবৈধ দখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছিলেন প্রশাসন। কিন্তু তৎকালিন অফিসারদের বদলিজনিত সময়ে সুকৌশলে কিছু লোক সেখানে পুনরায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। বিশেষ করে মোস্তফা রাঢ়ী নামের একজন গত জুন মাসে ‘মায়ের দোয়া’ নামে একটি খাবারের হোটেল গড়ে তুলেন। তিনি বাধাহীনভাবে সেখানে ব্যবসা করে আসছেন। তার দোকানে যে বৈদ্যুতিক লাইন টানানো তাও অবৈধ। তার দেখা দেখি অনেকেই সেখানে দোকান-পাট তুলছেন। তাদের দাবী অন্যরা তুললে আমরা কেন পারবো না।
সওজের স্থানে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠছে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন মামুন নামের চাঁদপুর সওজের একজন কর্মকর্তা। কিন্তু দখলদাররা তাকে সেখানে অপদস্ত করে। তারপর তিনি প্রতিকার চেয়ে ৪/৫ দিন আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মেয়র এবং অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
মাওলানা শহীদুল্লাহ বলেন, যদি উচ্ছেদ করতে হয় তাহলে সবাইকে করতে হবে। কেউ বহুতল ভবন করে অথবা অস্থায়ী দোকান তুলে ব্যবসা করবে আর অন্যরা করলে সেটা দোষের হয়ে যাবে; এটা কেমন কথা? উচ্ছেদ করলে সবাইকে করতে হবে। কেউ উচ্ছেদ হবে কেউ হবে না, তা হবে না।’
এ বিষয়ে সওজ কর্তৃপক্ষ মামুন বলেন, আমি অবৈধ স্থাপনা যাতে না তুলে সে ব্যপারে বলতে গেলে উল্টো আমাকে কথা শুনতে হয়েছে। তাই আমি বাধ্য হয়ে সরকারি ভূমি রক্ষার জন্য এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার সহযোগিতা চেয়ে আজ থেকে ৪/৫দিন আগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র ও অফিসার ইনচার্জ বরাবর।’
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.সাইদুল ইসলাম বলেন,‘আমি এ রকম চিঠি পাইনি। তবে উনারা এসে যদি সহযোগিতা চায় অবশ্যই আমি সহযোগিতা করবো। আমরা ভোক্তা অধিকারসহ সবাইকে পুলিশ দিয়ে সহযোগিতা করে আসছি। এটা আামার দায়িত্ব।’
ৃ
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আজিজুন নাহার বলেন, ‘আমি এ রকম চিঠি এখনো পাইনি বা কেউ এখন পর্যন্ত (২৫ সেপ্টেম্বর) পাঠায়নি।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌলি মন্ডল এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘এ মহুর্তে আমি ঠিক কিছু বলতে পারছি না। কাগজপত্র দেখে তারপর বিষয়টি দেখবো।’
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন,‘অবৈধ স্থাপনাতো অবৈধই। সরকারি ভূমি দখল করার অধিকার কারো নেই। এ বিষয়ে সাংবাদিকদেরও ভূমিকা নিতে হবে।’
ক্যাপশন : ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক ও জনপথের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠছে দোকান-পাট।