দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৩ অক্টোবর সাভারের আমিনবাজারে মহাসমাবেশ, ৭ অক্টোবর বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন, ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতুর রেলসেতুর উদ্বোধন, মেট্রোরেলের মতিঝিল অংশ উদ্বোধন এবং ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে সুধী সমাবেশ।
রোববার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা ও বিভিন্ন অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে সভাপতিমণ্ডলীর যৌথসভা শেষে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বিএনপিকে প্রতিপক্ষ নয়, শত্রুপক্ষ বলে মন্তব্য করেন। রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতিতে কঠিন এক চ্যালেঞ্জে আছি। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই যৌথসভার আয়োজন।
তিনি বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার বিষয়ে সংবেদনশীল। তিনি (শেখ হাসিনা) খালেদা জিয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ উদারতা দেখিয়েছেন। তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তাতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। বিএনপি প্রধানের চিকিৎসার বিষয়ে প্রচলিত আইনে সরকারের কিছু করার নেই। আইন অনুযায়ী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে নির্দেশ মেনে তাকে চিকিৎসা করাতে হবে। আওয়ামী লীগ অবৈধ দল হলে কেন খালেদা জিয়ার মুক্তি বা বিদেশে পাঠানোর জন্য অনুমতি চাওয়া হয়?
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে কথার সীমারেখা মানা উচিত। আ স ম আব্দুর রবও একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে আ স ম আব্দুর রব উদাহরণ হতে পারে না। হাজী সেলিমও কিন্তু আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। আওয়ামী লীগ শূন্যে ভেসে হাওয়ায় উড়ে কিংবা বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতায় বসেনি।
রাজনীতিবিদদের বেফাঁস কথা বলা থেকে দূরে থাকা উচিত, বক্তৃতা বিবৃতিতে বেফাঁস কথা না বলার পরামর্শও দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।আগামী ৪ অক্টোবর দুপুরে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন জানিয়ে তিনি বলেন, তিনি আমাদের জন্য অনেকগুলো আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা নিয়ে এসেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে সংবর্ধনা দেওয়ার আওয়ামী লীগের প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন।