মধ্য ইউরোপের দেশ স্লোভাকিয়ার জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়েছে রাশিয়াপন্থি স্মের-এসএসডি পার্টি। তবে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রোগ্রেসিভ স্লোভাকিয়ার চেয়ে দলটি এগিয়ে থাকলেও পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোর দলটি। ফলে সরকারের গঠনে অন্য দলগুলোর ওপর নির্ভর করতে হবে স্মের-এসএসডি পার্টিকে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ফলাফল অনুসারে স্মের পার্টি ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে। ১৭ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রগ্রেসিভ স্লোভাকিয়া ও ১৫ শতাংশ ভোট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভয়েস-সোশ্যাল ডেমোক্রেসি বা হ্লাস পার্টি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনের পর জরিপে দেখা গিয়েছিল, প্রোগ্রেসিভ স্লোভাকিয়া এগিয়ে থাকবে। কিন্তু ভোট গণনার পর উঠে আসে ভিন্ন চিত্র। তবে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায় স্লোভাকিয়ার পরবর্তী সরকার গঠন নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।
এখন সরকার গঠন করতে হলে প্রধান দুই দলের পিটার পেলেগ্রিনির হ্লাস পার্টি ও ইগর মতোভিচের ওলানো পার্টির মতো দলগুলোর সঙ্গ প্রয়োজন হবে। এ ক্ষেত্রে ফিকোর সাবেক সহকর্মী পিটার পেলেগ্রিনি কিংমেকার হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেন। পেলেগ্রিনি রবার্ট ফিকোর সঙ্গে বিরোধের জের ধরে স্মের পার্টি থেকে বেরিয়ে এসে ২০২১ সালে হ্লাস পার্টি গঠন করেন।
স্লোভাকিয়ার রাজনৈতিক প্রথা অনুসারে, নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দলটি ১৫০ আসনবিশিষ্ট পার্লামেন্টে সরকার গঠনের সুযোগ পায়। তবে এবার স্মের পার্টির জন্য বিষয়টি খুব একটা সহজ হবে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ফিকোর দল ক্ষমতায় এলে দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে। কারণ ৫৯ বছর বয়সী ফিকো নির্বাচনের আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তার দল সরকার গড়লে ইউক্রেনকে অবিলম্বে সব সামরিক সহযোগিতা দেওয়া বন্ধ করা হবে।
স্লোভাকিয়ার এ সিদ্ধান্তের ফলে বিপাকে পড়তে পারে কিয়েভ। এমনকি, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কড়া সমালোচনা করে আসছেন রবার্ট ফিকো। এমনকি, স্লোভাকিয়ায় এলজিবিটিকিউ অধিকারের বিপক্ষে তিনি।
আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্মের-এসএসডি দলটি মূলত স্লোভাকিয়ার সাধারণ নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব করে, যারা রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।