চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের উত্তর মৈশাদী ১নং ওয়ার্ড ভুঁইয়া বাড়ির মৃত ফজলু ভুঁইয়ার ছেলে গ্রাম পুলিশ বাবলু ভুঁইয়া ও তার পরিবারের উপর এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা বর্বরোচিত হামলা করার এক গুরুতর অভিযোগ উঠে। হামলায় বাবলু ভুঁইয়া, তার নবব শ্রেণী পড়ুয়া কন্যা বাবলী আক্তার, স্ত্রী পুতুল বেগম ও বোন পান্না আক্তার গুরুতর আহত হন বলে জানা যায়। এর মধ্যে বাবলু ভুঁইয়ার নবব শ্রেণী পড়ুয়া কন্যা বাবলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
৩০ সেপ্টম্বর শনিবার রাত ৮ ঘটিকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এই ঘটনায় গ্রাম পুলিশ বাবলু ভুঁইয়া এলাকার গনি ছৈয়ালের ছেলে আজাদ ছৈয়াল (২৭), রাহিম ছৈয়াল (২৫), মাহিম ছৈয়াল (২০), সোহাগ ছৈয়াল (৩৫), গনি ছৈয়াল (৬০), তার স্ত্রী ছালেহা বেগম (৫৫), ও মেয়ে শিল্পী বেগম (৩০) কে বিবাদী করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায় গনি ছৈয়ালের ছেলে আজাদ ছৈয়াল, রাহিম ছৈয়াল , মাহিম ছৈয়াল, সোহাগ ছৈয়াল এলাকার বখাটে ও খারাপ প্রকৃতির লোক, এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবন কারী ও মাদক ব্যবসায়ী। তারা প্রতিনিয়ত এলাকায় বিভিন্ন প্রকার অপকর্ম সহ প্রকাশ্যে মাদক বিক্রয় করার কারনে গ্রাম পুলিশ বাবলু স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর নির্দেশে তাদেরকে সতর্ক করে।বারংবার সর্তক করলেও মাদকব্যবসায়ীরা গ্রাম পুলিশ ও চেয়াম্যানের কথার কোন তোয়াক্কা করে না। এই মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক বিক্রয় করার কারনে বেশ কয়েক বার পুলিশের হাতে আটক হয়। একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। মাদক ব্যবসায়ীদেরকে পুলিশ আটক করার কারনে গ্রাম পুলিশ বাবলু পুলিশকে সংবাদ দিয়েছে মর্মে মাদক ব্যবসায়ীরা সন্দেহ করতে থাকে।
এই সন্দেহের জের ধরে মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রাম পুলিশ বাবলুকে রাতের বেলায় একাপেয়ে এলোপাথাড়ী কিল, ঘুষি, লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা থেতলানো জখম করে। গ্রাম পুলিশ বাবলু’র ডাক চিৎকারে তার মেয়ে বাবলী, বোন পান্না, স্ত্রী পুতুল ঘটনাস্থলে আসলে মাদক ব্যবসায়ী আজাদ ছৈয়াল, রাহিম ছৈয়াল,মাহিম ছৈয়াল, সোহাগ ছৈয়াল তাদের পিতা গনি ছৈয়াল ও বোন শিল্পী বেগম সবাই আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। আজাদ ছৈয়াল তাহার দুই হাত দিয়া বাবলুর মেয়ের গলায় চাপ দিয়া তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
বাবলুর স্ত্রী ও বোনকে এলোপাথাড়ী পিটাইয়া তাহাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা থেতলানো জখম করে। পরনের কাপড় ও মাথার চুল টানা হেঁচড়া করে শ্রীলতাহানীও করে। গ্রাম পুলিশের গায়ে থাকা পোশাক টানা হেঁচড়া করে ছিড়ে ফেলে। পরে স্থানীয় মেম্বার, আরো অন্যান্য গ্রাম পুলিশ সহ আশপাশের লোকজন এসে প্রাণে রক্ষা করে। আহতদের সকলকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এদের মধ্যে গ্রাম পুলিশ বাবলুর কন্যা বাবলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসক জানান। মাদক ব্যবসায়ীরা এই সময় প্রকাশ্যে বলাবলি করতে থাকে যে, এই বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিলে খুন জখম করে লাশ গুম করার হুমকি প্রদান করে।