চাঁদপুর মেঘনা নদীতে রাতের আধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাতেনাতে এমবি মা ফাতেমার দোয়া খান এন্টারপ্রাইজ ১ নামে ড্রেজার সহ ৯ জনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ।
এই ঘটনায় হরিণা ঘাট নৌ ফাঁড়ির এএসআই মোঃ রনি খন্দকার বাদী হয়ে ৩৭৯/৪১১/৪৩১/৩৪ ধারায় ২০১০ এর ১৫ এর ১ প্যানেল কোড দন্ডবিধি আইনে মামলা করা হয়। যার মামলা নাম্বার ৯ ,তারিখ ৩/২০/২৩।
প্রতিদিন রাতের বেলায় চাঁদপুর হরিনা ও আলু বাজার এলাকায় মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে সুপরিচিত সেই বালুখেকো ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তার নিজস্ব ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে।
চাঁদপুর আলু বাজার ও হরিনা ঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ি যৌথ অভিযানে সেই বালুখেকোর মা ফাতেমা ১ নামে ড্রেজার সহ ৯ জনকে আটক করে। পুলিশের হাতে আটক হওয়া আসামিরা হল,আলাউদ্দিন (৪০)’ইব্রাহিম (২৮’)’,নয়ন (২৫), ছলে হীন (২৫), মামুন হোসেন (৩৮), জাহিদুল ইসলাম (২৫), নাজমুল (১৯), শফিকুল ইসলাম (২০), শাকিব (২০)।
ড্রেজার ও আসামিদের আটক করার পর তাদেরকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য বালুখেকো সেই প্রভাবশালী ব্যক্তি বিভিন্ন মহল থেকে নৌ পুলিশকে তদবির করতে শুরু করে।
চাঁদপুর নৌ পুলিশ সুপার কামরুজ্জামানের নির্দেশে অবশেষে সেই ড্রেজার সহ আসামীদের আটক করার পর মামলা দায়ের করে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন যাবত এই বালুখেকো পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। প্রশাসন বেশ কয়েকবার তাকে নিষেধ করার পরে বেপরোয়া হয়ে মেঘানা নদীতে বালু উত্তোলন করছে। এই অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানান সচেতন মহল।
এ বিষয়ে চাঁদপুর নৌ পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান, কোন অন্যায়ের সাথে আপোষ করে না নৌ পুলিশ। নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এর পূর্বেও অনেক ড্রেজার ও বলগেট সহ আসামিদের আটক করা হয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন করার সময় মা ফাতেমা এক নামে একটি ড্রেজারসহ ৯ জন আটক করা হয়।
এই ঘটনায় নৌ পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নৌ পুলিশের এই অভিযান সর্বদা অব্যাহত থাকবে।