কচুয়ায় বক্সগঞ্জ ভূমি অফিসের তহসিলদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কচুয়া উপজেলার বক্সগঞ্জ ভূমি অফিসের তহশিলদার মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও সেবাগ্রহিতাদেরকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের ইব্রাহিম জানায়,আমি খাজনার দাখিলার জন্যে গেলে দীর্ঘদিন ঘুরানোর পর ২০ হাজার টাকা দাখিলা কাটার জন্য ঘুষ চায়। ঘুষ দেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ঘুরার পর কোন ভাবেই দাখিলা দিলো না।
তহশিলদার মাসুদ পারভেজের ছোট বোনের স্বামী হারুনর রশীদ জানান,আমার শ্বশুর মৃত্যুর আগেই উনি মৃত্যু সনদ তৈরি করে বোনদের সম্পত্তি সহ জমি বিক্রি করা শুরু করে দিয়েছে।
মাসুদ পারভেজের বড় বোন নাজমা বেগম বলেন,আমার মা,বোন ও মাসুদসহ আমাকে ৬শতাংশ জমি হেবামূলে দলিল করে দিয়েছিলো। এই সম্পত্তি আমার অগোচরে বলাই নামে এক ব্যক্তির নিকট ক্ষমতার অপব্যবহার করে চুরি করে বিক্রি করে দিয়েছে।
একই রকম অভিযোগ করে কাদিরখিল গ্রামের ফরহাদ হোসেন,সেংগুয়া মৌজার সাদ্দাম হোসেন,মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী,আঃ হান্নানসহ আরো অনেকে জানান,একটি খারিজের জন্য ভূমি অফিসে যাওয়ার পর প্রথমে ঘুরায় তারপর দাখিলার ১০ হাজার টাকা খরচ চায়। আইনের বিভিন্ন মারপ্যাঁচে ফেলিয়ে ও নানা সমস্যা বের করেন যাতে ঘুষের টাকার পরিমাণ দ্বিগুণ হয় এ রকম অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও ড্রেজার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুষ বানিজ্য করে বালু উত্তোলনের সুবিধা দিচ্ছে। ড্রেজার ব্যবসায়ী সেলিম,মফিজ, বিল্লাল,আমির হোসেন,সফিকুল ইসলাম,জামাল হোসেন জানান,দু’একদিন পর পর এসে এসিল্যান্ড স্যারের নাম বিক্রি করে চাঁদা দাবি করে, চাঁদা না দিলে পাইপ ও মেশিন ভাঙ্গা শুরু করে। চাঁদা দিলে চলে যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান, মাসুদ পারভেজের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়টি
অনেকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছে। আমি এসিল্যান্ড মহোদয়কে বিষয়টি জানিয়েছি।
তহশিলদার মাসুদ পারভেজ কাছে বক্তব্য জানতে চাইলে তার ব্যবহারিত মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভাব হয়নি।
এ সম্পর্কে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ইবনে আল জায়েদ হোসেন জানান, খাজনা ও খারিজ এর বিষয়ে আমি সবর্দা তৎপর। যদি আমার কোনো অফিস কর্মকর্তা ঘুষ নিয়ে থাকে বা চায় আমাকে জানাবেন। এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেইনি। তবে মাসুদ পারভেজের বোন নাজমা বেগম,জালিয়াতির বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন।