দ্বীনি ও শিশু শিক্ষায় আলো ছড়াচ্ছে কচুয়া উপজেলার ১৬৭নং গুতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গুতপুর এ ছাত্তার এতিমখানা মাদ্রাসা। কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা আলহাজ¦ ফয়েজ আহমেদ স্বপনের সার্বিক সহযোগিতায় ও জমিদানে পৃথক ভাবে প্রতিষ্ঠিত দুটি প্রতিষ্ঠান এলাকার মানুষের কাছে অতিপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়া শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবাও পিছিয়ে নেই এ অঞ্চলের মানুষ। গুতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গুতপুর এ ছাত্তার এতিমখানা সংলগ্ন দক্ষিন পাশে সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে গুতপুর কমিউনিটি ক্লিনিক। এ ক্লিনিকে প্রতিদিন এলাকার দরিদ্র ও অসহায় পরিবারসহ সকল পরিবারের মানুষ বিনামূল্যে সেবা গ্রহন করছেন।
জানা গেছে, কচুয়া সমাজকল্যান সংস্থার সমূহের আওতায় (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রন) ৪৬ নং অধ্যাদেশ এর অধীনে চাঁদপুরের কচুয়ার ২নং পাথৈর ইউনিয়নের গুতপুর এ ছাত্তার এতিমখানা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সমাজসেবা চাঁদপুরের অধিদপ্তরের অধীনে এ প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধন পেয়েছে। যার নিবন্ধন নং- (চাঁদ-৭৬৪/২০২১) সনদ নং ০০৭৬৪২৬। সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়,সমাজসেবক অধিদপ্তর ঢাকার আওতায় চাঁদপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রজত শুভ্র সরকার হাত থেকে নিবন্ধন সনদপত্র ও বিভিন্ন কাগজপত্র গ্রহণ করেন,কচুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম নেতা,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এ ছাত্তার এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব ফয়েজ আহমেদ স্বপন। আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ¦ ফয়েজ আহমেদ স্বপনের প্রতিষ্ঠিত গুতপুর সেবামূলক সমাজকল্যাণ প্রতিষ্ঠান গুতপুর এ ছাত্তার এতিমখানাটি নিবন্ধিত হওয়ায় এলাকাবাসী আনন্দিত ।
এ প্রসঙ্গে গুতপুর এ ছাত্তার এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিল্পপতি আলহাজ্ব ফয়েজ আহমেদ স্বপন বলেন, আমরা সকলেই পরপারের যাত্রী। কেউ আগে,কেউ পরে। এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরাপারে যেতে হবে। যেমনি ভাবে আমার প্রয়াত বাবা আব্দুস ছাত্তার আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নেই। আমার দুই মেয়ে। জীবনে কোনো কিছুর চাওয়ার নেই। সকলের সহযোগিতায় ও আল্লাহর ইচ্ছায় আমি আমার গ্রামে অধিকাংশ সহায় সম্পত্তি বাবা ও মায়ের নামে স্কুল,কমিউনিটি ক্লিনিক ও এতিমখানার জন্য দান করে দিয়েছি।
বিশেষ করে কয়েক বছর আগে এলাকার অসহায় ও সাধারণ মানুষের জন্য আমার প্রয়াত বাবার নামে সেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। এতিমখানাটি প্রতিষ্ঠাতা পর থেকে গুতপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অসহায় মানুষের পাশে থেকে ত্রান সামগ্রী, ঈদ বস্ত্র, শীত বস্ত্র, ইফতার সামগ্রী, পথ শিশুদের খাবার ও বস্ত্র বিতরণ, দারিদ্র্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান, চিকিৎসা সহায়তা, বৃক্ষরোপণসহ নিয়মিত সকল জাতীয় দিবস পালন, সামাজিক কার্যক্রম, বিভিন্ন ইস্যুতে জনসচেতনতা তৈরি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, গুতপুরসহ বিভিন্ন এলাকার শিশুদের দ্বীনি শিক্ষার জন্য এ এতিমখানাটি করা হয়েছে। অবশেষে এতিমখানাটি সরকারি রেজিস্ট্রেশনভূক্ত (নিবন্ধিত) হওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। মাদ্রাসাটির মাধ্যমে এলাকার দ্বীনি শিক্ষার প্রসারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি এতিমখানাটি সার্বিক উন্নয়নে প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি,মিডিয়াকর্মী ও এলাকাবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন। এদিকে বর্তমান সময়ে জমি দিয়ে এমন ত্যাগ স্বীকার করায় এবং এ ছাত্তার এতিমখানাটি সরকারি নিবন্ধিত করায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি আলহাজ¦ ফয়েজ আহমেদ স্বপনকে সাধুবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
১৬৭নং গুতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) রুজিনা আক্তার জানান, আমাদের বিদ্যালয়ে ৬জন শিক্ষকের পদ থাকলেও রয়েছি ৩জন। সীমান্তবর্তী এলাকা ও অঞ্চলে মাদ্রাসা বেশি থাকায় আমাদের বিদ্যালয়ে ৮৬জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক বাড়ানোর পাশাপাশি আমরা শিক্ষার্থী বাড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
এবার গুতপুর কমিনিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি সুমি আক্তার জানান, সরকারের নিয়মে প্রতিনিয়ত প্রত্যান্ত অঞ্চলের সেবা বঞ্চিত মানুষকে বিনা মূল্যে ঔষধ ও তাদের সাধারন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে যাচ্ছি। আরো অধিক সেবার মান বাড়াতে আমরা সবসময় চেষ্টা করছি।