৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের (পদ্মফুল) মার্কার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রেবেকা সুলতানা মুন্না বলেন, কিছু আসাধু লোক আমার বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত মাঠে আছি এবং থাকবো। আমি কারো হুমকি-ধমকিতে পিছু হওয়ার মেয়ে না। আমি রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে। আমি আমার বাবার আদর্শ নিয়ে বড় হয়েছি। আমার বাবা বিএলএফ কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মরহুম রাজ্জাকুল হায়দার খান সিমু। তিনি বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ বারের সফল চেয়ারম্যান ছিলেন। আমার দাদাও ৩২ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। ছোট বেলায় বাবার রাজনীতি দেখে বড় হয়েছি। বাবার পথ ধরেই রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে জনগণের সেবা করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে (পদ্মফুল) মার্কার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি।
চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের (পদ্মফুল) মার্কার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রেবেকা সুলতানা মুন্না শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিজ ওয়ার্ড পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড ও বালিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ব্যাপক গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা করেন। এসময় তিনি ভোটারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়, দোয়া, সমর্থন ও ভোট প্রার্থনা করেন।
নির্বাচনী প্রচারণা ও শুভেচ্ছা বিনিময়কালে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণাকালে রেবেকা সুলতানা মুন্না আরো বলেন, আমার বাবা ও দাদা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের সেবা করে গেছে। তেমনি আমিও আপনাদের সেবা করার জন্য চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে (পদ্মফুল) মার্কার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। আমি আশাকরি আপনাদের মেয়ে ও বোন হিসেবে আমাকে আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ দিবেন।
উল্লেখ্য, রেবেকা সুলতানা মুন্না বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ বারের সফল চেয়ারম্যান, রণাঙ্গনের সাহসী বিএলএফ কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মরহুম রাজ্জাকুল হায়দার খান সিমুর জ্যেষ্ঠ কন্যা। তিনি চাঁদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ২০০৪ সালে প্রানী বিজ্ঞান বিষয়ে বিএসসি অনার্স সম্পন্ন করেন। পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি ছাত্র রাজনীতি সাথে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ছিলেন কলেজ ছাত্রলীগের কমনরুম বিষয়ক সম্পাদক।
এছাড়াও রাজনীতির সকল কর্মকাণ্ডে দৃঢ়তার কাজ করে গেছেন সেই ১৯৯৬ থেকে বর্তমান সময়ে। চাঁদপুরের জাতীয় নির্বাচনগুলোতেও সক্রিয়তার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
Discussion about this post