ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সোহাগের থেকে চাঁদা না পেয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে আহত অবস্থায় সোহাগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ থানা মোড়ে সোহাগের নিজের গার্মেন্টসে এই পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মাহবুবুল আলম সোহাগকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দেখতে ছুটে আসেন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সায়েদ সরকারসহ দলীয় নেতাকর্মীগণ।
ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা মাহবুবুল আলম সোহাগ বলেন, সামনের উপজেলা নির্বাচনের জন্য আমি নাকি একজনের থেকে ৫ লাখ টাকা এনেছি। সেই টাকা এখনি বের করে দিতে। এরপর আমাকে আর কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই জাহাঙ্গীর পালোয়ানের নেতৃত্বে আলমগীর হোসেন আলো, মোসাদ্দেক হোসেন, নাসিরসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জন সঙ্গবদ্ধভাবে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই চাঁদার টাকা না পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাকে হামলা চালিয়ে জখম করে।
তিনি আরও বলেন, আমার কাপড়ের গার্মেন্টসটিতে ভাঙ্গচুর চালিয়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকা নগদ ছিলো তা লুট করে ওরা নিয়ে গেছে। এসময় ছুটাতে এসেও অনেকে হামলার স্বীকার হয়েছে। হামলায় আমি মাথায় পীঠে হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হলে স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি হই। আমার সাথে এই নির্মম নির্যাতনের বিচার দাবী করছি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর পালোয়ান গংদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আসিবুল হাসান বলেন, সোহাগ নামের ওই রোগীকে আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য দ্রুত ওয়ান স্পট ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি নিয়েছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, এখনো এ ধরনের ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post