মতলব দক্ষিণে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পৌর বাজারে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেব মন্দিরের রথ বাজার প্রাঙ্গণে জমে উঠেছে রকমারি শীতের পোষাক বা গরম কাপড় বেচা কেনার হাঁট।
রবিবার এ বাজারে স্থানীয় অসহায় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের উপচে পড়া ভীর লক্ষ করা গেছে।
সরজমিনে লক্ষ করা যায় যে, এখানে স্বল্প মূল্য ছোট ছোট সোনামনিদের আকর্ষনীয় শীতের পোষাক পাওয়া যায়। সপ্তাহের প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে এ রকমারি শীতের পোষাকের বেচাকেনা। চারদিকে হৈ-হুল্লোড়, হাঁক-ডাক, যেন উৎসব মুখর পরিবেশে বিক্রি হচ্ছে প্রত্যেক দোকানীর আমদানীকৃত শীতের পোষাক। এই পরিবেশে একটু পর পর শোনা যায় দেইক্ষা লন, বাইচ্ছা লন, একপাশ থেকে শোনা যায় খালি ২০, অন্য পাশ থেকে আওয়াজ আসে খালি ৩০। এভাবে করে খালি ৫০ বা ১০০ পর্যন্ত আওয়াজ আসে। প্রতিটা মূহুর্তেই এমন আওয়াজ শুনে ক্রেতারাগন আকর্ষিত হয়ে থাকেন। চাহিদা ও সামর্থ্য অনুযায়ী পণ্য মিলিয়ে নিতে দরিদ্র, বয়োবৃদ্ধ ও নিন্ম পেশাজীবীর মানুষ প্রতিটা দোকানীদের নিকট ভীর জমায়। পরিশেষে অধিকাংশ জন-মানুষ নিজের পছন্দমত শীতের পোষাক বা পণ্য ক্রয় করতে সক্ষম হয়ে থাকে।
ক্রেতা সফিকুর রহমান বলেন, মতলব জগন্নাথ মন্দিরের মাঠে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শীতকালীন সময়ে স্বল্প মূল্যে গরম কাপড়ের পোষাক বিক্রয় করতে আসেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে দেশে প্রচুর ঠান্ডা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিময় আবহাওয়া বিরাজমান। ঘর থেকে বের হওয়াই মুসকিল। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। তাই শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে, গরম কাপড়ের খোঁজে এখানে এসেছি। পছন্দমত পোষাক মিলাতে পেরেছি, এখন ভালো লাগছে।
শীতের পোষাক বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, শীতের প্রারম্ভে বেশ কিছু দিন টুকটাক বেচা বিক্রি ছিল। এখন শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতার সমাগম বেড়েছে পাশাপাশি বেচা কেনা ভালই হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের এখানে ছোট বাচ্চাদের পোশাক ও বয়োবৃদ্ধ মানুষের পোষাক বেশি বিক্রয় হচ্ছে। সামনে আরও শীতের আশঙ্কা রয়েছে। শীতের এই প্রকোপে অনেকটা আনন্দ নিয়েই ব্যবসাটাকে সামলে নিচ্ছি।
Discussion about this post