চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারের তেলিপট্টি রোডে তৈরি হয় বিশেষ একধরনের সেমাই, নাম ফকির কবিরের চাক সেমাই। প্রতিবছর পবিত্র রমজানে এই সেমাইয়ের চাহিদা বাড়ে। অনেকটা ঘানি ভাঙা মেশিনের মতো দেখতে একটি মেশিনে আড়াআড়িভাবে বাঁধা লম্বা একটা কাঠ বা বাঁশ ধরে দুজন লোক গোলাকার হয়ে হেঁটে ঘোরাতে থাকেন। তখন এটির বিশেষ একটি ডাইস থেকে ময়দার খামি চিকন সুতার আকৃতির সেমাই হয়ে মেশিন থেকে বেরিয়ে আসে। সেমাইসহ এই ডালাগুলো রোদে শুকিয়ে তন্দুরিতে দিয়ে লালচে রং হয়ে এলে বিক্রির জন্য টুকরিতে নিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়। চট্টগ্রাম ছাড়িয়ে বিভিন্ন দেশে রয়েছে এর কদর।
ময়দা ভালোভাবে চালনি দিয়ে পরিষ্কার করে রাখা হচ্ছে কড়াইয়ে।কড়াইয়ে ময়দা সাজিয়ে রেখে তাতে ফুটন্ত পানি ঢালা হচ্ছে।কাঠের তৈরি কাঠি দিয়ে গরম পানির সঙ্গে ময়দা মেশানো হচ্ছে।ঘানি ভাঙা মেশিনের মতো বিশেষ যন্ত্রে বাঁশ বেঁধে ঘোরালে বের হয় সেমাই।ডালাতে করে শুকাতে দেওয়া হয়েছে সেমাই।শুকানোর পর তন্দুরিতে দিলে সেমাইয়ের রং লালচে হয়।বিক্রির জন্য টুকরিতে নিয়ে দোকানে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে।