ঝালকাঠি সদর উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় অগ্নিসংযোগ, গুলিবর্ষণ ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (২২ মে) সকালে সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে রাতে মানপাশা গ্রামের ব্যবসায়ী কে এস জাহিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও দুই রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম।
পুলিশ স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার দিনগত রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর মানপাশা গ্রামে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ব্যবসায়ী কে এস জাহিদের বাড়ির প্রধান ফটকে অগ্নিসংযোগ ও দুই রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। আত্মরক্ষার্থে জাহিদ তার লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে ফাঁকা গুলি করেন। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে বুধবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় ৪ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর অবস্থায় ২ জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন, আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী খান আরিফুর রহমানের কর্মী সদর উপজেলার রাজপাশা গ্রামের দিলু মজুমদারের ছেলে মুন্না মজুমদার (২০) ও শামসুল হকের ছেলে রাসেল (৩২)। এবং কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন খান সুরুজের কর্মী একই এলাকার হুমায়ুন কবির শেখের ছেলে মাহমুদ শেখ (২৭) ও হৃদয় শেখ (২৫)।
ব্যবসায়ী কে এস জাহিদ বলেন, আমি দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলাম। এজন্য হয়তো আমার ওপরে কেউ ক্ষিপ্ত ছিল। আমার বাড়ির প্রধান ফটকে অগ্নিসংযোগ ও গুলি ছোড়া হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কেএস জাহিদের বাড়িতে রাতে আমরা গিয়েছিলাম। দুই পক্ষের হামলায় ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পৃথকভাবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।