আমের রাজধানী হিসেবে খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। এই জেলাসহ সারাদেশে ঠিক কত জাতের আম রয়েছে তার পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও নৌকার আদলে আয়োজিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষি প্রযুক্তি মেলায় ফজলি, ক্ষীরসাপাতি, গোপালভোগ, রাজভোগ, বোগলাগুটি, গৌড়মতি, রাণীপছন্দ, কাটিমন, মতিচুর, কাঁচা মিষ্টিসহ ১৫১ প্রজাতির আমের দেখা মিলেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু চত্বরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের আয়োজনে কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে সংক্ষিপ্ত র্যালিতে অংশগ্রহণ ও ১৮টি স্টল পরিদর্শন করেন অতিথিবৃন্দ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছমিনা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন আখতার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার সরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস বলেন, সরকার দেশের কৃষি সেক্টরের মান উন্নয়নে কাজ করছে। যে দেশের কৃষি সম্পদের মান যত ভালো সে দেশের জীবনযাত্রার মানও ততো ভালো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দেশের কোথাও এক ইঞ্চি জমি যেন পতিত না থাকে। আমরা ছোট দেশ। কিন্তু দিন দিন আমাদের দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেই সাথে খাদ্যের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আমাদের সবাইকে কৃষি সম্প্রসারণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
মেলায় স্টল প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে ফজলি-৭ নামে একটি কৃষি ফার্ম। এর উদ্যোক্তা গোলাম মোস্তফা সুমন বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক সময় অনেক প্রজাতির আম ছিল। তবে সেই আম আজ আর নেই। উচ্চফলনশীল জাতের কারণে অনেক আদি জাতের আম হারিয়ে গেছে। আজ একসঙ্গে এসব আমের জাত দেখে খুব ভালো লাগছে। আশা করছি এ আমগুলো ধরে রাখার চেষ্টা করবে সরকার।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, আমের জন্য বিখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। এখানে অনেক প্রজাতির আম হয়। দেশ-বিদেশে এই অঞ্চলের আমের সুনাম রয়েছে। তবে বাণিজ্যিকীকরণ ও চাহিদার কারণে অনেক পুরোনো প্রজাতির আম হারিয়ে যাচ্ছে। এসব আমের জাতের সঙ্গে নতুন প্রজন্ম ও মানুষকে পরিচিত করে দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ।
অনুষ্ঠান শেষে কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন জাতের কৃষি বীজ বিতরণ করা হয়।