কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া এলাকার একটি স্কুলের পুকুর থেকে নৈশপ্রহরী বাচ্চু মিয়ার (৫৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের নগুয়া হাসমত উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মনোতোষ বিশ্বাস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নিহত বাচ্চু মিয়া সদর উপজেলার মহিনন্দন ইউনিয়নের গাংগাইল এলাকার আহাম্মদের ছেলে। তিনি শহরের গৌরাঙ্গ বাজারে নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। হাসমত উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশেই দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন জানান, লোকজনের মাধ্যমে শুনেছি একটি মরদেহ পুকুরে ভাসছিল। তারপর পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনোতোষ বিশ্বাস বলেন, আমরা স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ১২টার দিকে খবর পাই যে, শহরের নগুয়া এলাকার হাসমত উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে একটি মরদেহ ভেসে রয়েছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি পুকুর থেকে উদ্ধার করি। পরিবারের লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি তিনি স্কুলের পাশেই ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। শরীরে জ্বালাপোড়ার কারণে তিনি বেশি পানি ব্যবহার করতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হয়তো শরীরে পানি দেওয়ার জন্য তিনি স্কুলের পুকুরে এসেছিলেন। এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বাচ্চু মিয়া গত ৮ জুন রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।