সিলেটে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও বন্যার ক্ষত এখনো কাটেনি। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) পর্যন্ত সিলেট সিটি করপোরেশনের দুটি ওয়ার্ডসহ জেলার এক হাজারেরও বেশি গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। এরই মধ্যে ফের সিলেট অঞ্চলে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ কারণে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় সিলেট অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
সিলেট ছাড়াও ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগেও একই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। এসময়ে দেশের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কাও করা হচ্ছে।বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, শুধু কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন বলেন, ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস পেয়ে সিলেটের প্রত্যেক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। এর আলোকে জেলা প্রশাসন প্রস্তুতি নিয়েছে।