বগুড়ার গাবতলীতে সুদের টাকা ফেরত দিতে না পারায় রিমা বেগম নামের এক গৃহবধূকে মাঝরাত পর্যন্ত আটকে রেখে নির্যাতন করেছেন দাদন (সুদ) ব্যবসায়ী। এ অপমান সইতে না পেরে তার স্বামী দিনমজুর আব্দুল মালেক (৪০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার (৯ জুলাই) ভোরে উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের পাররানীরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আব্দুল মালেকের স্ত্রী রিমা বেগম বাদী হয়ে গাবতলী থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে অভিযুক্ত গোলজার রহমানকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের মৃত আকিমুদ্দিনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চার মাস আগে মালেকের স্ত্রী রিমা দেড় ভরি সোনা, ব্যাংক চেকের ফাঁকা পাতা বন্ধক রেখে সুদের ওপর গোলজার কাছ থেকে ৩৬ হাজার টাকা নেন। পরে সেই টাকা টাকা সুদে-আসলে লাখ টাকায় দাঁড়ায়। ওই টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) গোলজার তার দলবলসহ রিমাকে গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখেন।
সেখানে রাত ২টা পর্যন্ত নানাভাবে রিমার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। ওই সময় গোলজারের লোকজন মালেকের বাড়িতে গিয়ে টাকা না পেলে রিমাকে দিয়ে অনৈতিক কাজ করানোর হুমকি দেয়। খবর পেয়ে রাতেই রিমার বাবা ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে দাদন ব্যবসায়ী গোলজারের কাছ থেকে মেয়েকে ছাড়িয়ে নেন। এ অপমান সইতে না পেরে আব্দুল মালেক শনিবার (৮ জুলাই) দিনগত রাতে শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বগুড়ার গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দাদন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।