চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের পরাণপুর গ্রামের হাজীবাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা দখল করে পথ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগে ইব্রাহিম ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত মানববন্ধনটিকে ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে ৷
অভিযুক্ত ইব্রাহিম ও তার পরিবারকে ঘিরে রাস্তার জমি দখলের অভিযোগ আনা হলেও ইব্রাহিম তার পরিবারকে ঘায়েল করাই মূল উদ্দেশ্যে ছিলো বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত ইব্রাহিম।
মানববন্ধনে অভিযুক্ত ইব্রাহিমের ভাষ্যমতে, গত ১১ই মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে শাহরাস্তি থানাধীন টামটা উত্তর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামে তার পরিবারকে হয়রানি করে যে মানববন্ধন করা হয় তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক।
মূলত পরাণপুর গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান নিজেই একজন ভূমি দস্যু। সে গ্রামের সহজ সরল- সাধারণ মানুষকে একত্রিত করে একটি মানববন্ধন করে ইব্রাহিম ও তার প্রবাসী ছেলেকে দোষারোপ করে এই মানববন্ধন করে। মূল বিষয় হলো, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মিজানুর রহমান ও তার ছোট ভাই আলী হোসেন এবং তার ২ জন চাচা ও ৪/৫ জন চাচাতো ভাই এবং ঢাকা ও চট্রগ্রাম থেকে ২/৩ জন লোক ভাড়া করে এনে ইব্রাহিমের স্ত্রী আছিয়া বেগম ও তার প্রবাসী ২ ছেলের বউয়ের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আকস্মিক হামলা করে মারাত্নক জখম করে এবং ভূমি দস্যু মিজান তার পিতার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে জোর পূর্বক একটি ঘর তোলে এবং বাড়ির মানুষের চলাচলের শত বছরের রাস্তার উক্ত বাড়ির হানিফের মাধ্যমে একটি টিনের বেড়া স্থাপন করে মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে তাকে দোষ দেয়। ইব্রাহিমকে অপবাদ দিয়ে অপমান করায় তিনি প্রশাসনের কাছে বিচার চান এবং প্রশাসনের মাধ্যমে বাড়ির পথের মীমাংসা চান।
ইব্রাহিম মিয়া আরও জানান,আমার পরিবারের উপর আকস্মিক হামলার কারণে ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চাঁদপুরে একটি মামলা হয়। সে মামলাটি হালকা করতে এবং মিজান তার আধিপত্য বিস্তার করতে এলাকায় মানববন্ধন করে। মিজান গং এর লোকেরা আমার পরিবারকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে যে আমাদেরকে মেরে লাশ গুম করে ফেলবে এবং এই বাড়ি থেকে চিরতরে উচ্ছেদ করে দিবে। আমি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই। এই বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।