শাহরাস্তিতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। সঙ্ঘবদ্ধ চোর বিল্ডিং এর ভেন্টিলেটর ভেঙে বসত ঘরে প্রবেশ করে চারটি কক্ষে থাকা ওয়ারড্রব ও স্টিলের আলমিরার তালা ভেঙে তাতে থাকা প্রায় ৫ ভরি স্বার্ণালকার ও নগদ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যায়।
গত ১৮ মার্চ সোমবার আনুমানিক রাত সাড়ে আটটা হতে দশটার মধ্য এই চুরির ঘটনা ঘটে চাঁদপুরের শাহরাস্তি পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাজির কামতা মহল্লার বড় বাড়ি সংলগ্ন প্রবাস ফেরত মুদি দোকানি মোজাম্মেল হক শফিকের ঘরে।
পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভুক্তভোগী মোজাম্মেল হক শফিক জানান, আমি প্রবাস থেকে এসে কাজির কামতা পাটোয়ারী বাড়ির সামনে একটি মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছি। আমার এক মাত্র ছেলে প্রায় ৩/৪ মাস হয় বিয়ে করে কর্মের তাগিদে সৌদি প্রবাসে চলে যায়। পুত্র বধু বাপের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছে। ঘরে এখন আমি আর আমার স্ত্রী একা অবস্থান করে আসছি। ঘটনার দিন একই মহল্লার পাটোয়ারী বাড়ি আমার ছোট মেয়ের জামাইর ইফতারির দাওয়াত থাকায় বেলা আনুমানিক আড়াইটার সময় আমার স্ত্রী ওই বাড়িতে চলে যায় এবং আমি দোকানে চলে আসি। রাত তরাবি নামাজ শেষে জামাইর বাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে আসলে বসত ঘরের দরজা ভাঙা দেখে পাড়ার লোকজন ও নিকট আত্মীয় স্বজনদের খবর জানালে ঘটনাস্থলে তারা ছুটে আসেন। ঘরে প্রবেশ করে ভেন্টিলেটর ভাঙা সহ ঘরের ভিতর তিনটি কক্ষের ৩ টি স্টিলের আলমিরা ও ২ টি ওয়ারড্রবের তালা ভাংচুর ও আসবাবপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আলমিরায় থাকা প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা চুরি যায়। তিনি আরো জানান, তবে স্বর্ণালঙ্কার আরো বেশি হতে পারে।
একই এলাকার বাসীন্দা জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমার চাচাতো ভাই তানভীরের শ্বশুর বাড়িতে চুরির ঘটনার খবর পেয়ে এসে জানতে পারলাম সত্যই চুরি হয়েছে।
ছোট জামাতা তানভীর হোসেন পাটোয়ারী জানান, তরাবি নামাজের সময়ে এই দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটেছে। ওই সময় ঘরে থাকা আলমিরা ও ওয়ারড্রপ ভেঙে স্বর্ণ গয়না, নগদ টাকা নিয়ে যায়।
শাহরাস্তি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। চুরির ঘটনা ঘটেছে তা সত্যে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দেয়া হবে। চোরদের চিহ্নিত করতে আমাদের অফিররা কাজ করছে।